চাঁদপুর শহরে ড্রেজার ব্যবসায়ী রেহান উদ্দিন হত্যা মামলায় খোরশেদ আলম নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার বিকেলে শহরের প্রফেসর পাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যে বৃহস্পতিবার শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক এলাকায় রেল লাইনের পাশ থেকে রেহানের ব্যবহৃত লুঙ্গি, গেঞ্জিসহ জুয়ার তাস ও সিগারেটের প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে।
চাঁদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মিলন মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘খোরশেদ আলম পুলিশের কাছে রেহান উদ্দিনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। ব্যবসায়ী রেহান ও খোরশেদ আলম পূর্ব পরিচিত ছিলেন। তারা একসঙ্গে জুয়া খেলতেন। হত্যার আগে জুয়ায় খোরশেদ আলম তার গরু বিক্রির ৬৫ হাজার টাকা হেরে যান রেহানের কাছে।
‘জুয়ায় হারায় রেহানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন খোরশেদ। ঘটনার দিন বিকেলে তারা দুই জন রেহানের খালি বাসায় জুয়া খেলতে বসেন। কিছু সময় পর তাদের ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে বটি দিয়ে কুপিয়ে রেহানকে হত্যা করেন খোরশেদ। পরে তার রক্তমাখা জামাকাপড় ও জুয়ার তাস ট্রেন লাইনের পাশের জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যান তিনি।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘এ হত্যার ঘটনায় আগে যে চার জনকে আটক করা হয়েছে, তাদের সম্পৃক্ততা মেলেনি। খোরশেদ নিজেই কৌশলে তাদের ফোন ব্যবহার করে রেহানের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। আমরা আটক ওই চারজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেবো।’
২৩ জুন শহরের ট্রাকরোড এলাকায় রেহানকে ভাড়া বাসায় নিজ রুমে হত্যা করা হয়। পরদিন ২৪ জুন বিকেলে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় লোকজন জানান, দুই বছর ধরে চাঁদপুর শহরের ট্রাংকরোড এলাকায় তামান্না শারমিন ভিলার তৃতীয় তলার ভাড়া বাসায় স্ত্রী পারভীন আক্তারকে নিয়ে থাকতেন রেহান। তার চার সন্তানের মধ্যে তিন মেয়ে রোকছানা, মাইমুনা, আফছানা শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। ছেলে মো. রাসেল ওমানপ্রবাসী। রেহান বালি কাটার ড্রেজারের ব্যবসা করতেন। তার বাড়ি শরীয়তপুরের সখিপুরে।