বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাটি খুঁড়ে জনভোগান্তি, ঠিকাদার ব্যস্ত ভাইয়ের নির্বাচনে

  •    
  • ১ জুলাই, ২০২১ ১৯:২০

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওয়ান টু ওয়ানের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন জানান, আমার ছোট ভাই ওয়াশিম রাজা জীবননগর পৌরসভার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেছে। সেখানে সময় ব্যয় হয়েছে। এ ছাড়া আলমডাঙ্গায় আমার একটি কাজ চলছে। সেটারও দেখভাল করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে হোগলডাঙ্গার কাজটা করতে বিলম্ব হয়েছে।

সড়ক পাকা জন্য মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করে দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ওই সড়কে ধানের চারা রোপণ করেন তারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে তাগাদা দেয়া হলেও লাভ হয়নি।

যথাসময়ে কাজ শেষ না করার জন্য বৈরী আবহাওয়া আর ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ততার কথা বলছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওয়ান টু ওয়ানের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন।

চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, হোগলডাঙ্গা নতুন পাড়া থেকে পুরাতন পাড়া কবরস্থান পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়কটি পাকা করার জন্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজটি পায় জীবননগরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওয়ান টু ওয়ান এন্টারপ্রাইজ।

৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সড়ক পাকা করার কাজ শুরুর কথা ২৮ ফেব্রুয়ারি। যা শেষ হবে আগামী বছরের ৭ মার্চ।

তবে ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরু করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। মার্চে কাজ শুরু হলেও, মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করে কাজ বন্ধ রাখা হয়। পাঁচ মাস কাজ বন্ধ থাকায় বর্ষায় মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

বর্ষায় এই সড়কে কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত পানি। চলাচলে শুরু হয়েছে নৌকার ব্যবহার।

সড়কে ধান রোপণ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন গ্রামবাসী। ছবি: নিউজবাংলা

হোগলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বায়জিদ হাসান তনু জানান, গ্রামের ভেতরের ১ কিলোমিটার সড়ক গত ৫ মাস আগে কেটে রাখা হয়েছে পাকা করার জন্য। সড়কটি পাকা হবে জেনে খুশি হয়েছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু কাজের আর কোনো অগ্রগতি নেই। এলজিইডির প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের গাফিলতিতে চরম দুর্ভোগে রয়েছি আমরা। এরই প্রতিবাদে ওই সড়কে ধানের চারা রোপণ করেছেন গ্রামের লোকজন।

ষাটোর্ধ্ব আজিজুর রহমান জানান, বর্ষা মৌসুমে সড়কটিতে হাঁটু সমান পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়েছে। মালামাল আনা-নেয়া তো দূরের কথা, মানুষ হেঁটেও চলাচল করতে পারছেন না ওই সড়ক দিয়ে।

গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান জানান, খুঁড়ে রাখার কারণে ওই রাস্তা দিয়ে পাওয়ার ট্রিলার নিয়ে মাঠে যাওয়া যায় না। ধান ও অন্য ফসল কেটে গাড়িতে করে নিয়ে আসার ব্যবস্থা নেই। ফসল কষ্ট করে মাথায় করে আনতে হয়েছে। বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওয়ান টু ওয়ানের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন জানান, আমার ছোট ভাই ওয়াশিম রাজা জীবননগর পৌরসভার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেছে। সেখানে সময় ব্যয় হয়েছে। এ ছাড়া আলমডাঙ্গায় আমার একটি কাজ চলছে। সেটারও দেখভাল করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে হোগলডাঙ্গার কাজটা করতে বিলম্ব হয়েছে। ওই সড়কে ইতিমধ্যে বালি ফেলা হয়েছে। পানি নিষ্কাশন করে কাজ শুরু করতে শ্রমিকদের বলা হয়েছে। কিন্তু এই বৃষ্টির মধ্যে পুরোপুরিভাবে কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে সড়ক থেকে পানি নিষ্কাশন করে দ্রুত কাজ শুরুর জন্য বলা হয়েছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ সানা।

তিনি জানান, বিষয়টি জানার পর ঠিকাদারকে সড়কের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই সড়ক থেকে পানি নিষ্কাশন করে বালি ফেলতে বলা হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুতই মানুষের দুর্ভোগ দূর হবে।

এ বিভাগের আরো খবর