টানা বৃষ্টির মধ্যেও চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে আটকে পড়া আরও ১৪ জন বাংলাদেশি।
এ নিয়ে গত ৪৫ দিনে ওই চেকপোস্ট দিয়ে ১ হাজার ১০৫ জন দেশে ফিরলেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভারতের গেদে চেকপোস্ট হয়ে দেশে প্রবেশ করেন ওই বাংলাদেশিরা।
দেশে প্রবেশের পর ওই চেকপোস্টেই অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্পে ভারতফেরতদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দল। তবে এদিন তাদের মধ্যে কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়নি।
দর্শনার জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম জানান, ভারতের কলকাতার বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে নতুন অনাপত্তিপত্র (এনওসি) নিয়ে বৃহস্পতিবার ১৪ জন বাংলাদেশি দর্শনা চেকপোস্টে প্রবেশ করেন। সেখানে আসার পর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়।
তবে তাদের মধ্যে কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। সেখান থেকে নির্ধারিত পরিবহনে করে ১০ জনকে চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি), একজনকে স্থানীয় হোটেল ভিআইপিতে এবং অসুস্থ তিনজনকে সদর হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই আবদুল আলিম।
করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধসংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশের অভিবাসন শাখা (ইমিগ্রেশন) ও শুল্ক বিভাগের (কাস্টমস) আনুষ্ঠানিকতা শেষে সেখান থেকে ভারতফেরতদের নির্ধারিত পরিবহনযোগে (মাইক্রোবাস) জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তারা ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।