বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘নিয়ম মেনে’ আবারও ডুবল চট্টগ্রাম শিশু হাসপাতাল

  •    
  • ১ জুলাই, ২০২১ ১২:১৩

পানির কারণে নিচতলার শিশু ওয়ার্ড, অভ্যর্থনা কক্ষ, বহির্বিভাগ, প্রশাসনিক বিভাগ এখন হাঁটুপানিতে। জরুরি বিভাগ তৃতীয় তলায় স্থানান্তর করা হয়েছে। নিচতলায় থাকা সাধারণ শিশু ওয়ার্ড থেকে কিছু রোগীকে চতুর্থ তলায় জেনারেল ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবারই বৃষ্টিতে ডুবে যায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল। হাঁটুপানির মধ্যে দিয়ে গিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে হয় রোগীদের।

বুধবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতেও একই ঘটনা ঘটেছে।

হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, বুধবার থেকে চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে হাসপাতাল এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। শুরুতে হাসপাতালের প্রবেশমুখে পানি জমে। এরপর নিচতলায় পানি ঢোকে। এখন এখানে হাঁটুপানি।

পানির কারণে নিচতলার শিশু ওয়ার্ড, অভ্যর্থনা কক্ষ, বহির্বিভাগ, প্রশাসনিক বিভাগ এখন হাঁটুপানিতে। জরুরি বিভাগ তৃতীয় তলায় স্থানান্তর করা হয়েছে। নিচতলায় থাকা সাধারণ শিশু ওয়ার্ড থেকে কিছু রোগীকে চতুর্থ তলায় জেনারেল ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক নুরুল হক বলেন, ‘বুধবার রাত থেকে হাসপাতালের নিচে কিছু পানি জমেছে। শেষ রাতের দিকে পানি কমলেও সকালের বৃষ্টিতে ফের বেড়েছে। আমরা দ্রুত পানি বের করতে কাজ করছি।’

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালটি আগ্রাবাদে। আগ্রাবাদের পানি মহেশখাল হয়ে বঙ্গোপসাগরে চলে যায়। কিন্তু খাল দখল ও বিভিন্ন জায়গায় সরু হয়ে যাওয়ায় পানিপ্রবাহ ঠিকমতো হচ্ছে না। এ কারণে পানি আটকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

তবে শুধু এই হাসপাতালেই নয়, বিভিন্ন সড়কেও হাঁটুপানি।

বৃহস্পতিবার সকালে নগরের চান্দগাঁও, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, ২ নম্বর গেট, বাকলিয়া, কাপাসগোলা, কোতোয়ালি, আগ্রাবাদ, হালিশহর, জিইডি, চকবাজার এলাকায় দেখা যায় জলাবদ্ধতা।

আবহাওয়াবিদ ফরিদ আহমেদ জানান, দেশের ওপর দিয়ে মূলত মৌসুমি বায়ু বয়ে যাওয়ার প্রভাবে দেশব্যাপী বৃষ্টি হচ্ছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২১২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে।

এর আগে বুধবার সকাল ও রাতের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি পানি জমে হালিশহর ও কোতোয়ালি এলাকায়।

চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আজাদ হোসেন জানান, ঘণ্টাখানেক বৃষ্টি হলেই চান্দগাঁও আবাসিকে পানি ওঠে। এবারও তাই হয়েছে। পানির কারণে সড়কে বের হতে পারছেন না এই এলাকার মানুষ।

কোতোয়ালির ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব একই রকম অভিজ্ঞতার কথা জানান।

২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা মেটাতে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের দুই পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়।

ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২১ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপসহ নানান অবকাঠামো নির্মাণের কথা আছে।

সিডিএর প্রকল্প পরিচালক নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ মঈনুদ্দীন বলেন, প্রকল্পের অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। আগের তুলনায় এখন চট্টগ্রামে পানি কম উঠছে। প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে জলাবদ্ধতা সমস্যা মিটবে।

এ বিভাগের আরো খবর