মৌলভীবাজার সদরে মক্তবে পড়ানোর সময় ১০ বছরের শিশুকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আরব আলী নামে মসজিদের এক মুয়াজ্জিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক।
তিনি বলেন, সোমবার সকালে গয়ঘর গ্রামের ১০ বছরের এক কন্যাশিশু মসজিদে আরবি পড়তে গেলে আরব আলী মসজিদ ঝাড়ের কথা বলে তাকে মহিলাদের নামাজঘরে নিয়ে যান। সেখানে তিনি শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
এ সময় অন্য ছাত্ররা কায়দা নেয়ার জন্য ঘরে ঢুকলে কৌশলে শিশুটিকে বিস্কুট দিয়ে বসিয়ে রেখে দ্বিতীয় দফা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান আরব আলী। শিশুটি চিৎকার দিলে তাকে ছেড়ে দিয়ে তার বাড়িতে কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখান তিনি।
ওসি বলেন, পরে মেয়েটি কান্না করতে করতে বাড়িতে গিয়ে মা ও চাচিকে ঘটনার কথা বলে। বিষয়টি নিয়ে ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে সালিস বসে। সেখানে এলাকার আমির হোসেন আমরু, জয়নাল মিয়া ওরফে আসিক মিয়া, আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ কয়েকজন কৌশলে মুয়াজ্জিনকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। তারা শিশুটির পরিবারের ওপরেও চাপ সৃষ্টি করে।
ওসি জানান, শিশুটি অসুস্থ্ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মুয়াজ্জিনের গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে বুধবার সকাল ৬টার দিকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি ইয়াছিনুল হক বলেন, মুয়াজ্জিনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন শিশুটির বাবা।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে। আসামি আরব আলীকে মৌলভীবাজার সদর কোর্টে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে।