করোনভাইরাস ঠেকাতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া শাটডাউনেও সচল থাকবে দেশে প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন জারির পর বুধবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে ২৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদের স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, জরুরি পরিষেবা বিবেচনায় বন্দরের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। পরিচালনা কার্যক্রম স্বাভাবিক সময়ের মতো ২৪ ঘণ্টা সচল থাকবে।
কঠোর বিধিনিষেধের সময় বন্দর থেকে পণ্য খালাস নেওয়ার কাজ দ্রুত করতে শিপিং এজেন্ট, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ যেসব ব্যবহারকারী রয়েছে, তাদের সহায়তা দিতে ব্যাংক, কাস্টমস, পরমাণু শক্তি কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট অফিসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বন্দর কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি ডিপো, শিপিং এজেন্ট, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, বার্থ অপারেটর প্রতিষ্ঠানের যানবাহন চলাচলে এবং তাদের শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে যাতায়াতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশনায় অনুরোধ জানানো হয়।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, শিপিং এজেন্ট ও ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারদের ন্যূনতম জনবল রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি পণ্য চালানের ডিও বা সরবরাহ আদেশ ইস্যুর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া আমদানিকারকেরা যাতে পণ্য খালাস করে বন্দর কার্যক্রম সচল রাখেন, সে কথাও নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
এ ছাড়া আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী যানবাহন যাতে সড়কে ঝামেলামুক্ত থাকে, সে জন্য বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগকে গাড়িতে বিশেষ স্টিকার লাগানোর ব্যবস্থা করতে নির্দেশনায় বলা হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের মুখপাত্র ও সংস্থাটির সচিব ওমর ফারুক বলেন, জরুরি পরিষেবার আওতায় চট্টগ্রাম বন্দর সচল থাকবে। কারণ বন্দর অচল হলে সবকিছুতে প্রভাব পড়বে। বন্দরকেন্দ্রিক সবকিছু সচল রাখতে সহযোগিতার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের বেশির ভাগই চট্টগ্রাম বন্দর নির্ভর। মোট আমদানির ৮২ শতাংশ এবং রপ্তানির ৯১ শতাংশই চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে হয়।