নওগাঁ সদর হাসপাতালে রোগীরা লিকুইড অক্সিজেন সেবা পেতে শুরু করেছেন।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে এ সেবা চালু হয়েছে। এই হাসপাতালে একসঙ্গে ৯৫ জন রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেয়া যাবে। গত ২৮ জুন ট্যাংকে লিকুইড অক্সিজেন ভর্তি করা হয়।
জেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু। জেলার কোনো হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সুবিধা না থাকায় তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা রোগীদের পাঠাতে হয় রাজশাহী অথবা বগুড়ায়।
গত ৩০ এপ্রিল নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) জন্য দুটি শয্যা ও তিনটি ন্যাজাল ক্যানোলা এসেছে। এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় আইসিইউ চালু করা সম্ভব হয়নি। সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের নিচের তলায় করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। যেখানে ৩০ টি বেড আছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে করোনা রোগীসহ অন্যান্য জরুরি রোগীদের জন্য লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ প্রয়োজন। হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ট্যাংক ও যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ শেষ হলেও বিস্ফোরক দ্রব্যের লাইসেন্স না থাকায় লিকুইড অক্সিজেন চালু করা সম্ভব হচ্ছিল না।
নওগাঁ সদর হাসপাতাল ও জেলার তিন উপজেলা সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু আছে। এসব কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ কেন্দ্রের মাধ্যমে এক সঙ্গে ৩০ জন করে রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেয়া সম্ভব।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ও জেলা সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ বলেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকে অক্সিজেন চালু হয়েছে। রোগীরা এরইমধ্যে সেবা পেতে শুরু করেছে। ট্যাংকে লিকুইড অক্সিজেনের ধারণক্ষমতা ৬ হাজার লিটার। যেখানে ৯৫টি লাইনে অক্সিজেন সংযোগ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্যের লাইসেন্স না থাকায় লিকুইড অক্সিজেন চালু করা সম্ভব হচ্ছিল না। বিষয়টি সমাধান হওয়ার পর লিকুইড অক্সিজেন চালু করা সম্ভব হয়েছে।
নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ-মোর্শেদ জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টায় নওগাঁয় নতুন করে ১৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়ছে। জেলায় মোট ৪১৫ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে নওগাঁ হাসপাতালে ১১১ টি অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে ২২ জনের এবং ঢাকা ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবে ২৯৮টি পরীক্ষা করে ১১৮ জনের র শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের হার ৩৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এই সময়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৭ জনে।