কক্সবাজারের টেকনাফে আবার লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে উদ্ধার করা সেই দুটি বন্য হাতি।
উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল হোসাইন বুধবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে নাফ নদীর মোহনা থেকে হাতি দুটিকে বনে ছেড়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে দড়ি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পথে শাহপরীর দ্বীপ বেড়িবাঁধ থেকে মেরিন ড্রাইভ হয়ে সাবরাং বাজারে পৌঁছলে দড়ি ছিঁড়ে হাতি দুটি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।
সাবরাং ইউনিয়নের আশপাশে জোড়া হাতি দুটি অবস্থান করছে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘বুনো হাতি লোকালয়ে প্রবেশের ঘটনা নতুন নয়। আশা করছি আজকের মধ্যেই হাতি দুটিকে বনে পাঠানো যাবে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা চেষ্টা করছেন।’
টেকনাফ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন হাতি জোড়াকে নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন। কিন্তু সাবরাং বাজারে পৌঁছলে হাতি দুটি দড়ি ছিঁড়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।’
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে হাতি দুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়। বিকেল ৫টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের মাঝেরপাড়া সৈকত থেকে মাছ ধরা দুটি ট্রলারের মাধ্যমে হাতি দুটিকে উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, হাতি দুটির মধ্যে একটি মা ও অপরটি বাচ্চা। উদ্ধারের পর হাতি দুটিকে খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়।
গত শনিবার টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া প্যারাবনে হাতি দুটিকে প্রথম দেখতে পান স্থানীয়রা। বন বিভাগ ওই দিন রাতে হাতি দুটিকে বনে ঢুকিয়ে দেয়ার দাবি করে।
তবে রাত পেরোলে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটসংলগ্ন নাফ নদীর চরে হাতি দুটি দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। এরপর বন বিভাগ ও স্থানীয় লোকজনের ধাওয়া খেয়ে কিছুক্ষণ সাগরে আবার কিছুক্ষণ সমুদ্র উপকূলে অবস্থান নিচ্ছিল হাতি দুটি।
টেকনাফ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ জানান, হাতি দুটিকে খাবার ও চিকিৎসা শেষে নিরাপদ আবাসস্থলে ছেড়ে দেয়া হবে।
সোমবার টেকনাফ থানায় হাতির বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে বন বিভাগ।