বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাল পরিষ্কারে সেনাবাহিনী

  •    
  • ৩০ জুন, ২০২১ ১৬:৪৫

‘খাল-নালা পরিষ্কারে বুধবার সকাল থেকে দুইটি টিম কাজ করছে। প্রতিটি টিমে ১০ জন করে সেনা সদস্য রয়েছেন। পাশাপাশি প্রতিটি টিমে ২৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রকৌশলীরা সেনাবাহিনীকে সহায়তা করছেন।’

জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে চট্টগ্রামে খাল ও নালার ময়লা পরিষ্কারে নেমেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

বুধবার সকাল থেকে নগরের চশমা খাল ও আগ্রাবাদ খাল পরিষ্কার করে তারা।

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই আমরা খাল পরিষ্কার শুরু করি। মঙ্গলবার রাত থেকে চট্টগ্রামে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য নগরের নিচু এলাকাগুলোর খাল-নালা পরিষ্কারে বুধবার সকাল থেকে দুইটি টিম কাজ করছে।

‘প্রতিটি টিমে ১০ জন করে সেনা সদস্য রয়েছেন। পাশাপাশি প্রতিটি টিমে ২৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রকৌশলীরা সেনাবাহিনীকে সহায়তা করছেন।’

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টায় পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা শেখ ফরিদ আহমদ বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। এ সময় বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদ কে-ব্লক, কাপাসগোলা, বাকলিয়া, কোতোয়ালী এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তবে জলাবদ্ধতা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়নি, এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে পানি নেমে গেছে।

চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আজাদ হোসেন বলেন, ঘণ্টাখানেক বৃষ্টি পড়লেই চান্দগাঁও আবাসিকে পানি উঠে। সেই ধারাবাহিকতায় সকালেও আবাসিকের ভেতরে জমে যায়। পানি মাড়িয়ে অফিস যেতে হয়েছে।

কোতোয়ালির ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টিতে আমার ওয়ার্ডের এয়াকুব নগর, বংশাল রোড, আর সি চার্চ রোড, ডা. মান্নান গলিসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি উঠে যায়। তবে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পানি নেমে যাওয়া এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি সই হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়।

ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।

সিডিএর প্রকল্প পরিচালক নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ মঈনুদ্দীন বলেন, প্রকল্পের অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। আগের তুলনায় এখন চট্টগ্রামে পানি কম উঠছে। প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসন হবে।

এ বিভাগের আরো খবর