মাগুরা সদরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীর গলাকাটা মরদেহ তার ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শহরের সুইপার কলোনিতে বুধবার ভোররাতে এ ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।
নিহত ব্যক্তির নাম মানিক লাল। তিনি ওই কলোনির বাসিন্দা।
নিহত ব্যক্তির বড় ভাই হিরা লাল জানান, মাগুরা পৌরসভার অস্থায়ী পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে কাজ করতেন মানিক। সেই সঙ্গে বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকান দিয়েছিলেন। স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে তাদের সংসার মোটামুটি চলে যেত।
তিনি বলে, ‘মানিক কাল একটা পোষা গরু বিক্রি করে নগদ টাকা নিয়ে বাড়িতে আসে। রাতে পরিচিতদের সঙ্গে সেই টাকায় কিছুটা নেশা করে।
‘আজ ভোরে বাড়ির সবার চিৎকারে আমি উঠে শুনি আমার ভাই খুন হইছে। ওর ঘরে যেয়ে দেখি আমার ভাইয়ের বিছানা রক্তে ভেজা। মাথাটা গলার সাথে কিছুটা ঝুলে আছে।’
কলোনিতে মানিকের প্রতিবেশীরা জানান, মানিক নেশা করত নিয়মিত। তবে কারও সঙ্গে কোনো ঝামেলা ছিল না। তবে গরু বিক্রি নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছে। এক কসাই গরুটি কিনতে চেয়েছিলেন। তবে কসাইয়ের কাছে মানিক তার গরু বিক্রি করেনি। এটা নিয়ে একটু হট্টগোল হয়।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরেক আল মেহেদী বলেন, ‘সদর থানায় ভোরের দিকে খুনের খবরটি তার পরিবার জানায়। নিহত ব্যক্তির পরিবারসহ স্থানীয় কিছু মানুষের বক্তব্য শুনেছি। মরদেহের সুরতাহাল করে দেখা গেছে, কেউ তাকে ধারাল কিছু দিয়ে খুন করেছে।
‘তবে এ ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে আমরা নিহত ব্যক্তির একটি গরু বিক্রি নিয়ে বিরোধের বিষয়টি আমলে নিয়েছি।’
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন জানান, মানিকের মরদেহ থানায় নেয়া হয়। পরে মাগুরা সদর হাসপাতালে মর্গে নেয়া হয়েছে।