বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোটে অনিয়ম: সিইসির বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

  •    
  • ২৯ জুন, ২০২১ ২৩:১৪

বরিশাল যুগ্ম জেলা জজ তৃতীয় আদালতে মঙ্গলবার মামলাটি করেন গত ২১ জুন হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউপি নির্বাচনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আ. লতিফ মৃধা।

ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে অনিয়মের অভিযোগ এনে বরিশালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব ও সহকারী সচিবসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

যুগ্ম জেলা জজ তৃতীয় আদালতে মঙ্গলবার মামলাটি করেন গত ২১ জুন হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউপি নির্বাচনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আ. লতিফ মৃধা।

বিচারক মো. ইফতেখারুল ইসলাম মামলার আবেদনটি নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন দিয়েছেন।

মামলাটিতে আরও আসামি করা হয়েছে মেমনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী সদস্য মনির হোসেন চৌকিদার, অপর প্রার্থী দুলাল হোসেন, বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রিটার্নিং অফিসার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, মেমানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবকে।

বাদীর আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, গত ২১ জুন হিজলার মেমানিয়া ইউপিতে ভোটে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে অংশ নেন মনির হোসেন চৌকিদার (ফুটবল প্রতীক), দুলাল হোসেন (টিউবওয়েল) ও আ. লতিফ মৃধা (মোরগ)।

তিনি অভিযোগ করেন, প্রার্থীদের মধ্যে মনির হোসেনের ‘জনসমর্থন’ না থাকলেও বিত্তশালী ও প্রভাবশালী হওয়ায় নির্বাচনে জিততে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বেআইনিভাবে ম্যানেজ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ জুন আবুল ঢালীর বাড়ির মল্লিক-ই-এবতাদায়ী মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসাবে উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সৈয়দ আল আমিনকে নিয়োগ দেয়া হয়।

এতে আ. লতিফ আপত্তি জানালে ১৯ জুন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে মহিষখোলা ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক কামাল উদ্দিনকে নিয়োগ দেয়া হয়। তবে ২০ জুন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে সৈয়দ আল আমিনকে বহাল করা হয়।

আইনজীবী আজাদ আরও অভিযোগ করেন, ভোটের দিন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আল আমিন প্রকাশ্যে প্রশাসন ও তার সহযোগীদের নিয়ে মনির হোসেনের পক্ষে কাজ করেন। তারা অন্য প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন।

মোরগ প্রতীকের আ. লতিফ এ সময় প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে ফুটবল প্রতীকে সিল মেরে ব্যালট বক্স ভর্তি করা হয়। আ. লতিফ ফের প্রতিবাদ করলে ২ ঘণ্টা ভোট বন্ধ রাখা হয়।

এর মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। দুই ঘণ্টা পর জনশূন্য কেন্দ্রে ভোট নিয়ে অন্য প্রার্থীদের অনুপস্থিতিতে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।

তিনি জানান, এ ঘটনায় আ. লতিফের ছেলে সোহাগ মৃধা নির্বাচনের সব অনিয়ম উল্লেখ করে হিজলা থানায় একটি মামলা করেছেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আ. লতিফকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।

এ বিভাগের আরো খবর