যশোরের শার্শা উপজেলা হাসপাতালে ন্যূনতম নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই চলছে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ।
হাসপাতালের যে কক্ষে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে তার পাশের কক্ষেই চলছে হাসপাতালের নিয়মিত প্যাথলজি বিভাগের কাজ। করোনা ও প্যাথলজি বিভাগে রিপোর্ট নিতে আসা রোগীরা দাঁড়াচ্ছেন গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই। মানা হচ্ছে না কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি।
রোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি এমন হলে এখানে সুস্থ মানুষ এসে করোনা সংক্রমিত হয়ে বাড়ি ফিরবেন।
করোনা পরীক্ষা করতে আসা সেলিম রেজা নামে একজন বলেন, ‘শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলাম করোনা টেস্ট করতে। এখানকার যে পরিবেশ, তাতে মনে হচ্ছে করোনা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে।
‘এখানে সকল রোগীর একই জায়গায় নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। সুস্থ মানুষ এখানে আসলে অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন কোনো সন্দেহ নেই।’
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের মধ্যে ২৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে আসা যাত্রী ও শার্শার বিভিন্ন এলাকার মানুষ করোনা পরীক্ষার জন্য এখানে আসছেন। তবে হঠাৎ করে রোগীর চাপ বাড়ায় ভিড় হচ্ছে। বিকল্প জায়গা খুঁজে কাজ করার চেষ্টা চলছে।’
বেনাপোল দিয়ে ফিরেছেন ৪২ বাংলাদেশি
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন আরও ৪২ জন।
এ নিয়ে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ভারতে আটকে পড়া ৫ হাজার ৭৬৬ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে ১২৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। আর ভারত থেকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে আসেন ১৩ জন।
ভারত থেকে আসা এসব যাত্রীকে বেনাপোল, ঝিকরগাছা ও যশোরে ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, যেসব নাগরিক করোনা সংক্রমণ বা উপসর্গ নিয়ে দেশে ফিরছেন, উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডেডিকেটেড ইউনিটে পাঠানো হচ্ছে।