সাতক্ষীরার ভাতশালা এলাকায় ইছামতি নদী থেকে উদ্ধার হাত, পা ও মাথা ছাড়া মরদেহের পরিচয় মিলেছে।
সোমবার রাতে দেবহাটা থানায় গিয়ে সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের শাহীদা খাতুন মরদেহটি তার মেয়ে মোসলেমার বলে শনাক্ত করেন।
সোমবার দুপুরে দেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে হাড়দ্দহ সীমান্ত এলাকায় ইছামতীর চর থেকে দুটি হাত উদ্ধার করে পুলিশ। তবে পা ও মাথা উদ্ধার করা যায়নি।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, মরদেহে আগের পোড়া দাগ দেখে শনাক্ত করেন মোসলেমার মা শহীদা।
শহীদা জানান, প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর ২০১৯ সালের মে মাসে সদর উপজেলার হাড়দ্দহা গ্রামের রফিকুলকে বিয়ে করেন এক সন্তানের জননী মোসলেমা। তবে বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন করায় গত মার্চে স্বামীকে তালাক দিয়ে ওমান চলে যান তিনি।
তিনি আরও জানান, মোসলেমা বিদেশে গেলেও তার আগের ঘরের ছেলে রফিকুলের কাছেই ছিল। এর মধ্যে সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে মোসলেমাকে দেশে ফিরিয়ে আনেন রফিকুল। কোয়ারেন্টিন শেষে শনিবার তিনি বাড়িতে ফেরেন।
রোববার রফিকুলের বাড়িতে গেলে মেয়েকে দেখতে দেয়া হয়নি অভিযোগ করে শহীদা জানান, মোসলেমাকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার পর লাশ গুম করতে হাত, পা, ও মাথা কেটে ইছামতী নদীতে ফেলে দিয়েছে রফিকুল ও তার স্বজনরা।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক বাবুল আক্তার জানান, মঙ্গলবার বিকেলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মোসলেমার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মরদেহের অবশিষ্ট অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।