বাজারের অধিকাংশ দোকানের সাটারের অর্ধেক খোলা। দোকানের সামনে বা গলির মুখে দায়িত্বে আছেন একজন। তিনি দেখছেন প্রশাসন বা পুলিশ আসছে কি না।
আসলেই দেয়া হচ্ছে সংকেত; সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হচ্ছে দোকান। কিছুক্ষণ পর প্রশাসন বা পুলিশ চলে গেলে আবার দোকানের অর্ধেক সাটার খোলা হচ্ছে।
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা সদর, ফাঁসিয়াতলা, মিয়ারহাটসহ বেশ কয়েকটি বাজারে মঙ্গলবার সকালের চিত্র এটি।
চলমান লকডাউনে দোকান খোলা ও বন্ধের এমন ব্যবস্থাকে স্থানীয়রা রসিকতা করে বলছেন ‘চোর-পুলিশ খেলা’।
কালকিনি উপজেলা জুড়েই মিলেছে এমন চিত্র। লকডাউনের মধ্যেই দেদারছে চলছে মানুষের চলাচল ও ব্যবসা বাণিজ্য। উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করলেও তোয়াক্কা করছেন না স্থানীয়রা।
লকডাউন কার্যকরে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক ও পৌর মেয়র এস এম হানিফকেও মাঠে কাজ করতে দেখা গেছে। কালকিনি ও ডাসার থানা পুলিশও দিন-রাত কাজ করছে। তবে স্থানীয়দের ঠিকমতো বিধিনিষেধ মানতে দেখা যায়নি।
উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানের অর্ধেক অংশ খোলা রেখে চলছে বেচা-কেনা। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। নেই সামাজিক দূরত্বের বালাই। বাজার জুড়েই মানুষের ভিড়।
নাম প্রকাশে না করার শর্তে একজন কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি একা দোকান বন্ধ রাখলে কী হবে। অনেকেই দোকানের সাটারের অর্ধেক খোলা রেখে ব্যবসা করছে। তাই আমিও খোলা রাখতে বাধ্য হচ্ছি।’
পৌর মেয়র এস এম হানিফ বলেন, ‘আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। তাহলেই আমরা হয়তো করোনার হাত থেকে বাঁচতে পারব।’
উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক জানান, সরকারের দেয়া লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হলে জনপ্রতিনিধিদেরও সহযোগিতা করতে হবে। তাই তারাও মাঠে নেমেছেন।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসতিয়াক আসফাক রাসেল ও ডাসার থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান জানান, লকডাউন বাস্তবায়নে তারা দিন-রাত মাঠে কাজ করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, ‘বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’