করোনা ডেডিকেটেড ২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবার ফের অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়। ছোট ছোট সিলিন্ডার সময়মতো রিফিল না করায় এ সংকটের সৃষ্টি হয়। তবে ৪৫ মিনিটের মাথায় এই সংকট লাঘবে ১৫০টি সিলিন্ডার পাঠান সদর আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মাহবুবউল আলম হানিফ।
হাসপাতালে দুপুর ১টার দিকে অধিকাংশ সিলিন্ডারের অক্সিজেন শেষ হয়ে যায়। এতে আশঙ্কায় পড়ে যান করোনা রোগী ও তাদের স্বজনরা। এ সময় তিনজন রোগীর অক্সিজেন লেভেল অনেক নিচে নেমে আসায় শ্বাসকষ্ট হয়।
পরে কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফের উদ্যোগে স্থানীয় মনির অক্সিজেন ডিপো থেকে ১৫০টি সিলিন্ডার অক্সিজেন পাঠানো হয়। বেলা পৌনে ২টার দিকে ট্রাকে করে এসব সিলিন্ডার পৌঁছলে সংকট কেটে যায়।
এর আগে ২৬ জুন তিন ঘণ্টার জন্য অক্সিজেন সংকটে পড়েছিল হাসপাতালটি।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘যশোর থেকে সিলিন্ডার রিফিল হয়ে আসতে দেরি হওয়ায় অক্সিজেন সংকট হয়। এ সময় তিনজন রোগীর অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়। পরে এমপি সাহেবের পাঠানো সিলিন্ডার আসলে সংকট কেটে যায়।’
- আরও পড়ুন: করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট
তিনি জানান, ২৫ জুন করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে যাত্রা শুরুর পর রোগীদের জন্য ২০০টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সাপ্লাই আছে ১০টি বেডে। এ সংখ্যা আরও বাড়ানোর কাজ চলছে।
এই হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় চারজন ও উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন ভর্তি আছেন ১৮০ জন।
এদিকে, অক্সিজেন সংকটের কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন।
২৮ জুন পাঠানো ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মাত্র ১০টি বেডে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের সরবরাহ আছে। বাকি শয্যার জন্য যেসব সিলিন্ডার ব্যবহার কর হয়, সেগুলো দিনে দুইবার যশোর থেকে রিফিল করে আনতে হচ্ছে। তাই আরও ১০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ১০টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা ও ৩০টি কনসেন্ট্রেটর চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।