দীর্ঘ সময় কান্নাকাটি না করায় বাবা-মা মনে করেছিলেন বাচ্চার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এ জন্য হাফসার মা রুম্পা খাতুন মেয়ের মুখে মুখ লাগিয়ে বাতাস দেয়ার চেষ্টা করেন।
রিকশায় বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়ার সময়ও তিনি সন্তানের মুখে বাতাস দিচ্ছিলেন। আর বলছিলেন, ‘মা, কথা বল, তাকা মা।’
এমন সময়কার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আলোচিত সেই শিশু হাফসা এখন সুস্থ। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সে এখন বাড়িতে।
গত শনিবার (২৬ জুন) হঠাৎ করেই তার খিঁচুনি দেখা দেয়। অজ্ঞান হয়ে পড়লে হাফসাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তার বাবা-মা।
রাজশাহী নগরীর হাদিরমোড় বৌবাজার এলাকার সজল মনি ও রুম্পা খাতুনের মেয়ে হাফসার বয়স আজ ২৮ দিন।
রুম্পা বলেন, ‘শনিবার হাফসার বয়স ছিল ২৫ দিন। ওই দিন সকালে গোসল করানোর পর থেকেই কান্না করছিল। কিছুক্ষণ কান্নার পর দম আটকে যায়। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে।
‘এর পরই আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম। নিয়ে যাওয়ার সময় অনেকেই বলছিল মুখে মুখ লাগিয়ে ফুঁ দিলে দম স্বাভাবিক হবে। এ জন্য রিকশায় যাওয়ার পথে ফুঁ দেয়ার চেষ্টা করি।’
হাসপাতালে পৌঁছানোর পরও হাফসার মুখে মুখ লাগিয়ে ফুঁ দেন রুম্পা।
সজল বলেন, ‘২৪ নম্বর ওয়ার্ডে নেয়ার কিছুক্ষণ পরই চিকিৎসকরা দেখেন। ওই সময় তিনি বাচ্চার মুখে মুখ লাগিয়ে জোরে দুবার বাতাস দেয়ার সময়ই হাফসা কেঁদে ওঠে। জ্ঞান ফিরে আসে।
‘এর পরও সেখানে অক্সিজেন দেয়া হয়। সোমবার বিকেলে তাকে নিয়ে বাসায় এসেছি। এখন ভালোই আছে। স্বাভাবিক খেলেছে, হাসছে, কাঁদছে, খাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে ছুটি দেয়ার সময় বলা হয়েছে, ১৪ দিন পর একটি এমআরআই করতে হবে। রিপোর্ট নিয়ে আবার হাসপাতালে যাব।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিডেগিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানি জানান, শিশুটির খিঁচুনির সমস্যা হয়েছিল। হাসপাতালে নেয়ার পর অবস্থার উন্নতি হয়। ভালো পর্যায়ে যাওয়ায় সোমবার তাদের ছুটি দেয়া হয়েছে।