ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে হামলায় আহত সুজন মিয়া নামে যুবকের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় মাতাব্বররা হামলার ঘটনা মীমাংসা করে দাফনে সময় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
২১ বছর বয়সী সুজন উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের চরশংকর গ্রামের মৃত উমেদ আলীর ছেলে। তিনি ট্রলির হেলপার হিসেবে কাজ করতেন।
সোমবার রাতে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুন্না।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে সুজনকে স্থানীয় কয়েকজন লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। এতে তিনি ঘাড় ও গলায় আঘাত পান। দুইদিন বাড়িতে থাকার পর অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রোববার রাতে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতাল থেকে পরিবারের লোকজন মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান। স্থানীয় মাতব্বররা সুজনের মাকে বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করার চেষ্টা করেন। দুপুরে পুলিশ বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবার মামলা করেনি। মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।