মাদারীপুরের রাজৈরে সরকারি গাছ চুরির অভিযোগে এলাকাবাসীর হাতে আটক তিনজনকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বিচারের আশ্বাসে নিয়ে গিয়ে আটকদের ছেড়ে দেন উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন। তবে চেয়ারম্যানের দাবি, পুলিশ না নেয়ায় চোরগুলোকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আটক তিনজন হলেন উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের দিঘলিয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ বাঙ্গী, একই ইউনিয়নের মাচকান্দি গ্রামের হারুন মোল্লা ও তার চাচাতো ভাই আরিফ মোল্লা।
গত শনিবার উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের লক্ষের বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। ছেড়ে দেয়ার পর সমালোচনা শুরু হলে বিষয়টি সোমবার গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে আসে।
স্থানীয় লোকজন জানান, শনিবার গভীর রাতে লক্ষের বাজার এলাকায় রাস্তার পাশের একটি সরকারি মেহগনিগাছ কেটে ভ্যানে নিয়ে যাচ্ছিলেন সাত-আটজন। ওই সময় স্থানীয়রা চারদিক থেকে তাদের ঘিরে ধরে তিনজনকে আটক করেন। অন্যরা পালিয়ে যান।
রোববার ভোরে চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেনকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি তাদের ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। তবে কোনো আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে অজ্ঞাত কারণে দুপুর ১২টার দিকে তাদের ছেড়ে দেন তিনি।
পাইকপাড়ার দফাদার বিপ্লব জানান, রোববার ভোরে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লুৎফর মোল্লা তাকে চোর আটক করার বিষয়টি জানান। পরে তিনিসহ তিন-চারজন চৌকিদার ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাদের ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘পরে কী দইদরবার করছে তা আমি জানি না। কিন্তু কিছুক্ষণ আটকে রাখার পর চেয়ারম্যান আমাকে বলল, ওদের ছেড়ে দে। পরে ছেড়ে দিছি। তবে গাছের টুকরাগুলো ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রাখা হয়েছে।’
পাইকপাড়ার চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন জানান, ওই তিনজনকে আটকের সময় তিনি এলাকায় ছিলেন না। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। তবে কেউ আসেনি।
ডাকলে আসবেন- এমন শর্তে দুপুরে আটক ব্যক্তিদের এলাকার লোকজন নিয়ে যান বলে দাবি করেন তিনি।
রাজৈর থানার ওসি শেখ সাদিক বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমাকে এ বিষয়ে কিছু বলেননি। আমার বরাত দিতে পারেন। কিন্তু আমি কিছু জানি না।’