বরিশালের হিজলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীম আজাদ সোমবার দুপুরে আসামির অনুপস্থিতিতেই এই রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
দণ্ডিত বরুণ চন্দ্র মাঝির বাড়ি হিজলা উপজেলার বাহেরচর এলাকায়।
ওই কিশোরীর বাবার করা মামলায় বলা হয়, বরুণ তার মেয়েকে বিয়ের কথা বলে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি রাজি না হলে ২০০৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে তাকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বরুণকে বিষয়টি জানালে সে অস্বীকার করে।
এরপর ২০১০ সালের ২ জুন মেয়েটির বাবা বরুণের বিরুদ্ধে হিজলা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। ওই বছরের ১৯ আগস্ট উপপরিদর্শক (এসআই) মহসিন উদ্দিন অভিযোগপত্র জমা দেন। সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়।
তবে সে পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া তাকে করা জরিমানার টাকা আদায় করে মেয়েটিকে দেয়ার জন্য আদেশ দিয়েছে আদালত।