বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩৩৩-তে কল করায় মারধরের অভিযোগ

  •    
  • ২৮ জুন, ২০২১ ২১:৩২

ফারুককে মারধরের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘সে মিথ্যাচার করছে। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ মিথ্যাচার করছে। তবে যদি কেউ তাকে মেরে থাকে তাহলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ভোলার লালমোহনে ৩৩৩-তে কল করে খাদ্য সহায়তা চাওয়ায় এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ফাতেমাবাদ এলাকায় শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

মো. ফারুক নামের ওই ব্যক্তি জানান, করোনাভাইরাস মহামারিতে তিনি ভীষণ অভাব অনটনে ছিলেন। তার কষ্ট দেখে প্রতিবেশী রুমা ৩৩৩-তে কল করে ফারুকের জন্য খাদ্য সহায়তা চান ও ফারুকের ঠিকানা দেন।

এরপর ত্রাণ দেয়া হবে বলে শুক্রবার বিকেলে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলেন ছালাউদ্দিন দালাল ও ইউপি মেম্বার মো. হায়দার। এরপর তারা তাকে কল দেয়ার জন্য বকাবকি করেন ও জেলখানায় পাঠানোর ভয় দেখান।

একপর্যায়ে ফারুক জানান, ৩৩৩-তে কল করেছে তার প্রতিবেশী। তখন রুমা ও তার মাকে ডাকা হয়। তাদেরও অপমান করা হয়।

ফারুক নিউজবাংলাকে জানান, তিনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৮ থেকে ১০ জন লোক এসে তাকে মারধর করা শুরু করে।

এ বিষয়ে ছালাউদ্দিনের দাবি, ফারুক ৩৩৩-তে কল করে অন্যায় করেছেন। তাকে তারা সব ধরনের সুযোগ দিচ্ছেন। তারপরও সে কেন কল করে খাদ্য সহায়তা চাইবে?

তিনি জানান, অভাবে থাকলে ফারুক তাদেরকে জানাবে। কিন্তু তা না করে ঢাকায় কল করেছে। ঢাকা থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বলা হয়েছে, ইউএনও বলেছে চেয়ারম্যানকে আর চেয়ারম্যান তাদের বিষয়টি জানিয়েছেন।

লালমোহনের ইউএনও আল নোমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কাছে ৩৩৩ থেকে একটি এসএমএস আসে। তাতে বলা হয় উপজেলার লর্ডহাডিঞ্জ থেকে একজন খাদ্য সহায়তা চেয়েছেন। আমি এসএমএসটা চেয়ারম্যানের কাছে ফরওয়ার্ড করে তাকে সহায়তা করার জন্য বলি।

‘ত্রাণের কথা বলে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে মারা হয়েছে এ বিষয়টি আমি জানিনা। ত্রাণের কথা বলে কাউকে ডেকে মারলে এটা অন্যায় করেছে যা মোটেই কাম্য নয়। এ বিষয়ে অভিযোগ করলে তা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিষয়ে লর্ডহাডিঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া বলেন, ‘ফারুক এলে তাকে আমি জিজ্ঞেস করি সে আমার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোনো সহায়তা পেয়েছে কি না। সে বলে, পাইছি। তাহলে কেন ফোন দিছো? সে বলে, আমার ভুল হয়ে গেছে।

‘পরে স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী তাকে ৫০০ টাকা দিলে সে চলে। গত সপ্তাহেও তাকে চাল দেয়া হয়েছে। তবুও সে কেন ফোন দিলো বুঝলাম না।’

ফারুককে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সে মিথ্যাচার করছে। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ মিথ্যাচার করছে। তবে যদি কেউ তাকে মেরে থাকে তাহলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর