গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি গোরস্থান থেকে কঙ্কালভর্তি বস্তা পাওয়া গেছে।
শ্রীপুর পৌরসভার ২ নম্বর সিঅ্যান্ডবি চন্নাপাড়া এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার পাশের একটি গোরস্থান থেকে বস্তাটি উদ্ধার করা হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার সকালে একটি পারিবারিক গোরস্থানের পাঁচটি কবর খোঁড়া দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। সেখান থেকে ২০০ মিটার দূরে জামিয়া ইসলামিয়া এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার পাশের গোরস্থানে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে সেটি খুলে দেখেন ভেতরে কঙ্কাল।
ধারণা করা হচ্ছে, চুরির সময় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ভয়ে চোরেরা কঙ্কাল ফেলে গেছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
এর আগে গত ১৬ জুন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের কেওয়াটখালী জামে মসজিদের গোরস্থানে তিনটি কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরির অভিযোগ পাওয়া যায়।
কেওয়াটখালী জামে মসজিদের গোরস্থানে কবরের পাশে ফেলে রেখে যাওয়া কঙ্কাল
কেওয়াটখালী জামে মসজিদের ইমাম মাকসুদুর রহমান জানান, ফজরের নামাজ পড়ে কয়েকজন কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ তারা খেয়াল করেন তিনটি কবরে মাটি নেই। একটি কবরের পাশে কিছু হাড় পড়ে আছে।
মেডিক্যাল কলেজে অ্যানাটমি অধ্যয়নের কাজে ছাড়া কবর থেকে চুরি করা কঙ্কালের আর কোনো ব্যবহার আছে কি না, তা এখনও উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন দেবনাথ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাসপাতালে যেসব লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে পড়ে থাকে সেগুলোকে আমরা আমাদের ডিপার্টমেন্টে নিয়ে আসি। এরপর শিক্ষার্থীরা শেখার জন্য লাশগুলোকে কাটাছেঁড়া করে দেখে শরীরের ভেতরে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কোথায় কী আছে।’
কবর থেকে চুরি করা লাশ চোরাকারবারির মাধ্যমে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠদানের জন্য চলে আসে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমাদের এখানে যথেষ্ট বেওয়ারিশ লাশ আছে, সেহেতু চুরি করা কঙ্কাল আমাদের কাছে আসার প্রয়োজন নেই। তবে চোর চক্রটি হয়তো লাশ চুরির পর প্রসেস করে কঙ্কাল বিক্রি করতেও পারে।’