বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাত্রী পরিবহন করায় মামলা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৮ জুন, ২০২১ ১৮:০৬

বাসচালক ফয়সাল বলেন, ‘আসা-যাওয়ার পথে কিছু খাওনের টাকার জন্য যাত্রী তুলছি। পেটের দায়ে ভুল করে ফেলছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যারেরাও জানে না বিষয়টা। জানলে আমাদের সমস্যা হইব।’

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ বাসে যাত্রী পরিবহন করায় গাজীপুরে দুই বাসকে জরিমানা করেছে পুলিশ।

টঙ্গী বাজার এলাকায় সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাসকে জরিমানা করা হয়।

সোমবার থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী বাজার এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। রাজধানী থেকে গাজীপুরে ঢোকার সময় পুলিশ বাসটি আটকে দেয়। ভেতরে দেখা যায় অন্তত ৩০ জন বসে আছেন।

বাসের কাগজপত্র যাচাইয়ের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি স্টাফ বাস সেখানে পৌঁছায়। ওই বাসেও ৩০ থেকে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন।

যাত্রীরা জানান, এয়ারপোর্ট থেকে ময়মনসিংহ যেতে জনপ্রতি ৪০০-৫০০ টাকা নেয়া হয়েছে। আর গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত গেলে দিতে হবে ২০০ টাকা। সড়কে গণপরিবহন না থাকায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ বাসে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন।

মো. সাত্তার নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ঢাকায় বাবুর্চির কাজ করি। লকডাউনের কারণে বিয়াশাদি, সুন্নতে খাতনাসহ সব অনুষ্ঠান বন্ধ। কাজকাম না করলে ঢাকায় খামু কী, থাকমু কেমনে? তাই বাড়ি চইলা যাইতেছি। এয়ারপোর্ট থেইকা নালিতাবাড়ী ৩০০ টাকা ভাড়ায় গাড়িতে উঠাইছে।’

মরিয়ম নামের আরেক বাসযাত্রী বলেন, ‘মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। বিমানবন্দর থেকে ভালুকা পর্যন্ত জনপ্রতি ৫০০ টাকা ভাড়া নিয়েছে।’

‘ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য বিমানবন্দর বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ বাস দেখে ইশারা করি। বাসচালক ৫০০ টাকা ভাড়া চায়। কিন্তু দর-কষাকষি করে ৩০০ টাকায় বাসে উঠেছি,’ বলেন মো. শহিদুল।

মো. রমজান স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ বাস দেখে উঠি। এখন তো পুলিশ চেকপোস্টে নামায়া দিতেছে। কীভাবে বাড়ি যামু সেটাই ভাবতেছি।’

দুই বাসের চালক মো. ফয়সাল ও রাসেল মিয়া জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সকালে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় এসেছিলেন।

লকডাউনে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ সত্ত্বেও কেন যাত্রী তুলছেন, এমন প্রশ্নে ফয়সাল বলেন, ‘আসা-যাওয়ার পথে কিছু খাওনের টাকার জন্য যাত্রী তুলছি। পেটের দায়ে ভুল করে ফেলছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যারেরাও জানে না বিষয়টা। জানলে আমাদের সমস্যা হইব।’

গাজীপুর মহানগর পুলিশ লাইনের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মনির জানান, একটি গাড়ির সঠিক কাগজপত্র পেয়েছি কিন্তু আরেকটি গাড়ির চালক কাগজ দেখাতে পারেনি। চালকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যয়নপত্র দেখিয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বহন করার অনুমতি রয়েছে।

কিন্তু তারা ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছিল। তাই বাস দুটির বিরুদ্ধে মামলা করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর