জামালপুরের মাদারগঞ্জে এক নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় দুই ভাশুর ও ভাতিজাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
জেলা দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক জুলফিকার আলী খাঁন সোমবার দুপুরে এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন মাদারগঞ্জের ভেলামারী গ্রামের রবিউল কাশেম, মো. আমিনুর ও রবিউলের ছেলে নিক্সন ওরফে লিকসন। নিক্সন এখনও পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলার রায়ে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে ভেলামারী গ্রামের শাহিন মিয়ার সঙ্গে ওই গ্রামের শাহিদা আক্তারের বিয়ে হয়। ২০০৭ সালে শাহিন সৌদি আরব চলে যান। শাহিদা দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকতেন।
সৌদি আরব থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা নিয়ে মাঝে মাঝেই তার ভাশুর ও ভাতিজাদের সঙ্গে ঝগড়া হতো। এ নিয়ে ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি সকালে তাদের সঙ্গে আবার শাহিদার ঝগড়া হয়।
ঝগড়ার একপর্যায়ে দণ্ডিতরা শাহিদাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেয়ে তার বাবা মজিবর রহমান ২০১০ সালের ১৯ ডিসেম্বর মাদারগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় আটজনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে।
মামলায় আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন বাকী বিল্লাহ ও আনোয়ারুল করিম শাহজাহান।
আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র বলেন, ‘এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। আমরা এই রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাই। এ ছাড়া পলাতক নিক্সনকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’