শুরু হয়েছে সীমিত পরিসরের লকডাউন। রিকশা ছাড়া অন্য সব গণপরিবহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। খোলা রাখা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি নানা অফিস। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন অফিসগামী ও জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া যাত্রীরা।
চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন, মুরাদপুর, জিইসি, জামালখানসহ বেশ কয়েকটি ব্যস্ততম এলাকা ঘুরে সোমবার সকালে দেখা গেছে, রিকশা ছাড়া আর কোনো গণপরিবহন চলাচল করছে না। আর এ সুযোগে রিকশাচালকরা আদায় করছেন দ্বিগুণ, এমনকি তিন গুণের অধিক ভাড়া।
নগরীর অক্সিজেন এলাকার বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি আগ্রাবাদে একটি বেসরকারি কারখানায় কাজ করি। আজ গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও অফিস বন্ধ রাখেনি সরকার। সাড়ে ৩০০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে এখন অফিসে যেতে হচ্ছে। অথচ এই টাকা আমার অন্তত ১৫ দিনের ভাড়ার সমান!’
নগরীর অক্সিজেন এলাকায় মাঝবয়সী জুলেখা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আঁই অবাজি মেডিক্যাল যাইদ্দি। বালুচরাত্তুন অক্সিজেন পরযইন্ত আঁডি আঁডি আইস্সি। আরো হদ্দুর আঁডন পরিবু আল্লায় জানে।’
রিকশা নিচ্ছেন না কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এহন রিকশে অবাজি সোনার অরিণ! বালুচরাত্তুন মেডিক্যাল বলে ছয় শ টিঁআ! এদুগ্গুন টিঁআ তো বাজি আঁয় দিত ন পাইজ্জুম৷’
নগরীর টেক্সটাইল এলাকার রিকশাচালক ফিরোজ মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আঁরারে রাস্তাত চইলতু ন দে ট্রাফিক অলে। এহন যদি দুই-চাইর টিঁআ বারাই ন লই, বিশুদ বারততুন রিকশাঅ চালাইতু ন দিবু, হেত্তে কী হাইয়্যুম?’
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এই সময়ে রিকশা ছাড়া অন্য গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পরে বৃহস্পতিবার থেকে সর্বাত্মক লকডাউন বা শাটডাউন ঘোষণা করার কথা রয়েছে।