বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাটডাউনের ঘোষণায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চাপ

  •    
  • ২৮ জুন, ২০২১ ১৪:৫২

‘শহরে কাম নাই, তাই আর থাকন যাইবো না। তাই বাড়িত ফিরা যাইতাছি। কিন্তু গাড়ি তো নাই। যেগুলো চলে তাতে তিনগুন ভাড়া। আমরা তো দিনমজুর মানুষ, এতো ভাড়া কই পামো।’

শাটডাউনের ঘোষণার পর যাত্রীর চাপ বেড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে। সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। ছোট ছোট যানে কিংবা হেঁটেই গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে অনেককে।

মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সোমবার সকাল থেকে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাফেরায় নজর রাখছে পুলিশ।

মহাসড়কের সাইনবোর্ড, শিমরাইল, মদনপুর, তারাবো, গাউছিয়া, ও মেঘনা এলাকায় চেকপোস্টগুলোতে পুলিশের সদস্যরা পণ্যবাহী ও জরুরি সেবা ছাড়া অন্য সব যানবাহন ফিরিয়ে দিচ্ছে।

তবে পুলিশের নজর এড়িয়ে নানা উপায়ে রাজধানী ছাড়ছে পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখী মানুষ।

স্থানীয় টুপি ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে রওনা দিয়েছেন বাড়ি। তিনি বলেন, শাটডাউনের কারণে দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জের বিসিক এলাকা থেকে অটোরিকশায় করে ভেঙে ভেঙে সাইনবোর্ড পর্যন্ত এসেছেন। সেখানে এসে আর কোনো পরিবহন পাচ্ছেন না।

স্ত্রী সন্তান নিয়ে রাস্তায় এভাবে বিপাকে পড়ে তিনি বলেন, ‘কীভাবে যামো তাই চিন্তা করতাছি।’

মাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, ‘সকালে মাছ বিক্রি করেতে আড়াইহাজর থেকে ঢাকায় আইছি পিকআপে কইরা। ভাবসি যাওয়ার সময় গাড়িতে যামো। কিন্তু রাস্তায় তো গাড়ি কম তাই কোনো কিছু চিন্তা না কইরা পায়ে হাইটা রওনা দিছি। রাস্তার যেখানে গাড়ি পামো সেখান থেকেই উঠমো।’

করোনাকালে আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাবুর্চি পেশা বদলে তাল বিক্রি করতে শুরু করেন পারভেজ ঢালী। এখন শাটডাউনে তাও বন্ধ। তাই ফিরে যাচ্ছেন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নিজ বাড়িতে।

পারভেজ বলেন, ‘শহরে কাম নাই, তাই আর থাকন যাইবো না। তাই বাড়িত ফিরা যাইতাছি। কিন্তু গাড়ি তো নাই। যেগুলো চলে তাতে তিনগুন ভাড়া। আমরা তো দিনমজুর মানুষ, এতো ভাড়া কই পামো। জালকুড়ি থেকে ২০০ টাকার নিয়া রওনা দিছি মদনপুর পর্যন্ত আইতে ১৩০ টাকা শেষ। সময় গেলো ২ ঘণ্টা। এখান থেকে কেমনে বাড়ি যামো আল্লায় যানে। কারণ পিকআপে উঠছিলাম, পুলিশ নামায় দিসে।’

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক ওমর ফারুক নিউজবাংলাকে জানান, বৃহস্পতিবার থেকে শাটডাউনের কারণে মহাসড়কে মানুষের চাপ গত কয়েকদিনের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে। মহাসড়কের আশপাশের জেলার মানুষের ঢল বেশি। এছাড়া নানা প্রয়োজনে অনেকে রাজধানীর দিকেও প্রবেশ করছেন।

ওমর ফারুক বলেন, ‘কোনো ধরনের গণপরিবহন যেন চলাচল করতেন না পারে, সেজন্য বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি করছে। যেসব যানবাহন নিয়ম ভঙ্গ করে সড়কে নেমেছে তাদের মামলা দেয়া হচ্ছে। মানুষ লকডাউন মানছে না। নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছেন, ছুটছেন। এমনকি অনেকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানছে না।’

এ বিভাগের আরো খবর