নোয়াখালীতে চলমান লকডাউনে প্রধান সড়কে যাত্রী পরিবহন করায় ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা (ইজিবাইক) আটক করে থানায় নেয়ার পথে এক পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন চালক ফারুক হোসেন।
এ সময় পুলিশ কনস্টেবল ওই চালককে থামানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে অটোরিকশা থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন।
রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর টাউন হল মোড়ের প্লাট রোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাইজদীর পৌরবাজার এলাকা থেকে অটোরিকশাটি নিয়ে থানার দিকে যাচ্ছিল পুলিশ কনস্টেবল প্রিয় তোষ দেওয়ান। অটোরিকশাটি শহরের গণপূর্ত বিভাগের সামনে পৌঁছালে চালক অটোরিকশাটি বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে ওই পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল প্রিয় তোষ দেওয়ান চিৎকার শুরু করলে চালক অটোরিকশাটি নিয়ে প্লাট রোড়ে ঢুকে যায়। এক পর্যায়ে প্রিয় তোষ অটোরিকশার পিছনের আসন থেকে চালককে থামানোর চেষ্টা করতে গিয়ে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে আহত হন।
পরে স্থানীয়রা দেড় কিলোমিটার ধাওয়া করে শহরের মেথর পট্টি এলাকা থেকে অটোরিকশাসহ চালক ফারুককে আটক করে থানায় সোপর্দ করে।
চালক ফারুক হোসেনের দাবি, সার্জেন্ট ইউসূফ তার অটোরিকশাটি আটক করে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। অনেক কান্নাকাটি করেও পুলিশের মন গলাতে পারেননি।
একপর্যায়ে অটোরিকশাটি থানায় নিয়ে যেতে তিনি কনস্টেবল প্রিয় তোষকে নির্দেশ দেন। অটোরিকশাটি থানায় নিয়ে আটকে রাখলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকবে, এমন চিন্তা করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। এ সময় কনস্টেবল প্রিয় তোষ অটোরিকশা থেকে আমাকে মারধর করতে গিয়ে ছিটকে পড়ে গেছে।
নোয়াখালী ট্রাফিক বিভাগের টি.আই (প্রশাসন) মো. বখতিয়ার উদ্দীন জানান, চলমান লকডাউনে প্রধান সড়কে যাত্রী পরিবহন করায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকটি আটক করে থানায় আনার নির্দেশ দেন এটিএসআই কাজী মো. ইউসূফ। ইজিবাইকটি থানায় নিয়ে আসার পথে চালক ফারুক হোসেন ইজিবাইকের পিছনের আসনে বসে থাকা কনস্টেবল প্রিয় তোষ দেওয়ানকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ইজিবাইক থেকে ছিটকে পড়ে প্রিয় তোষ আহত হন। স্থানীয়রা চালক ফারুক হোসেনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।