ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজমের বিরুদ্ধে চুরির মামলা করেছেন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফ মাহমুদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের দ্বিতীয় আদালতে রোববার দুপুরে মামলাটি হয়। বিচারক আয়েশা বেগম মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আলী আজম সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের সিন্দুরউড়া গ্রামের বাসিন্দা। আর যিনি মামলা করেছেন, তিনি একই ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের বাসিন্দা।
এজাহারে বলা হয়েছে, সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নরসিংসার বাজারে ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয় অবস্থিত। গত বছরের ১১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাতটায় ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ মাহমুদ প্রতিদিনকার কাজ শেষে কার্যালয় বন্ধ করে বাড়ি চলে যান।
পরদিন ১২ অক্টোবর বিকেল পাঁচটার দিকে কার্যালয় খোলেন শরীফ মাহমুদ। তখন তিনি কার্যালয়ের শাটারের তালা পাননি। শাটার খুলে তিনি দেখেন কার্যালয়ে থাকা ২৮ হাজার টাকা মূল্যের ৪২ ইঞ্চির একটি এলইডি টেলিভিশন, ২৮ হাজার টাকা মূল্যের একটি পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র, ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি দেড় টন শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) নেই। পাশাপাশি দপ্তরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও দলিল খোয়া গেছে।
মামলায় আলী আজমকে প্রধান করে অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়। সাক্ষী করা হয় একই ইউনিয়নের ছোট হরণের রোস্তম ইউনুছ ও মো. ইছহাক, পয়াগ গ্রামের বাছির আহমেদ, বিলকেন্দুয়াই গ্রামের আলী হোসেন, বড় হরণের সেলিম এলাহী, কালিসীমা গ্রামের সাধন ইসলাম ও জলিল মিয়াকে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম বলেন, ‘তিন হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় স্থানীয় মোর্শেদ আলমের কাছ থেকে দোকানটি ভাড়া নিয়ে ব্যক্তিগত কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলাম। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব শরীফকে দিয়ে রেখেছিলাম। তাকে আমি মাসিক সম্মানীও দিতাম।
‘২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করতে কার্যালয়টি নেয়া। ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের পরপর যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় এটি। মাঝে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে এই মামলা হয়েছে।
‘কার্যালয়ের টিভি ও এসি আমার টাকায় কেনা। শরীফ নিজেই এসব মাল আমার বাসায় দিয়ে গেছে।’