ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ আট দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছে রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন।
সদর উপজেলা রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন রোববার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়।
সদর উপজেলা রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে সব শ্রেণির মানুষ আতঙ্কের সময় পার করছেন। প্রতিনিয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। প্রায় দেড় কোটি মানুষ করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত আয়ের পথ সংকুচিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইকচালকদের কর্মহীন করার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে নতুন করে বেকার হবে আরও এক কোটি মানুষ। এই পরিবহনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধের শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে।
ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক একটি শতভাগ পরিবেশবান্ধব পরিবহন। সরকারে উচিত এই পরিবহনকে আরও উন্নত করে গড়ে তোলা। কিন্তু তা না করে সরকার এই পরিবহনকে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই সদর উপজেলা রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আট দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়েছে।
দাবিগুলো হলো ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক নিষিদ্ধের ঘোষণা বাতিল, বুয়েটের প্রস্তাবিত রিকশা বডি তৈরি, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইকের লাইসেন্স, চালকদের প্রশিক্ষণ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং সহজ শর্তে ব্যাংকঋণ প্রদান, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইকচালকসহ সব শ্রমজীবী শ্রেণির জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু, যানজট নিরসনে জেলা শহরের মেড্ডা থেকে ভাদুঘর পর্যন্ত তিতাস নদীর পাড় দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মাণ, শহরের মৌলভীপাড়া থেকে পুনিয়াউট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করা, প্রতিটি জনবহুল এলাকায় রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইকের জন্য স্ট্যান্ড স্থাপন এবং ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চালানোর অধিকার দেয়া।
সংগঠনের আহ্বায়ক নূরুল আলম ও সদস্যসচিব সাহেদ মিয়া বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক নিষিদ্ধের ঘোষণা বাতিলের দাবিতে শহর থেকে একটি মিছিল কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় তারা আমাদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে দুই-তিনজন জেলা প্রশাসকের কাছে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় জনসমাগম করে তাদের মিছিল করতে নিষেধ করা হয়েছিল। হাতাহাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি।