ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আমতৈল ইউনিয়নের ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রোববার বিকেলে মামলা করেছেন মেয়েটির দাদি।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।
অভিযুক্তের চাচা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে প্রায় ৮ বছর আগে মেয়েটির বাবা-মার বিচ্ছেদ হয়। বেশ কিছুদিন ধরে মেয়েটিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত তার বাবা। কিন্তু কেন এমন করতো কেউ বুঝতে পারেনি।
১৫ বছর বয়সী ওই তরুণী বলেন, ‘গত মঙ্গলবার দুপুরে আমাদের বাড়িতে কেউ ছিল না। এই সুযোগে বাবা আমাকে জোর করে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা যেন কাউকে না বলি সেজন্য শারীরিক নির্যাতনও করা হয়। গতকাল শনিবার আমার কাকার বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেজন্য বাবা আমাকে মারধর করেছে। পরে আমি দাদিকে সব ঘটনা বলে দিয়েছি।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক বলেন, রোববার সকালে স্থানীয়দের কাছে বিষয়টি জানতে পারি। পরে থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ইসরাত জাহান জানান, দুপুরে পুলিশ ওই তরুণীকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিল। মেয়ের পায়ে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ডিএনএ টেস্টের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর জন্য বলেছি।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, রোববার বিকেলে তরুণীর দাদি বাদী হয়ে তার ছেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। সোমবার সকালে আসামিকে আদালতে তোলা হবে। সেই সাথে ওই তরুণীর ডিএনএ টেস্টের জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।