বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢালাইয়ের ২৮ দিন পর ভেঙে পড়ল ব্রিজের গার্ডার

  •    
  • ২৭ জুন, ২০২১ ১৮:০৮

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকেই নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও কম সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এ নিয়ে প্রকৌশলী ও পৌর মেয়রের কাছে অভিযোগ করা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি।

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়েছে ব্রিজের গার্ডার। ভেঙে পড়ার পরই পালিয়ে গেছেন শ্রমিকরা।

কুয়াকাটা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দোভাষীপাড়ায় রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, ২৮ দিন আগে ব্রিজের স্লাব ঢালাই দেয়া হয়। রোববার সকালে সেন্টারিং খোলেন ঠিকাদারের লোকজন। খোলার পরই ভেঙে পড়ে।

তার কাছ থেকে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২০ মিটার দীর্ঘ ও ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থের ব্রিজটির টেন্ডার দেয়া হয়। ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ২৬ লাখ ১৫ হাজার ৮৮৩ টাকা। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে কুয়াকাটা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় পৌরসভার দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি চলমান।

সেতুর প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ পর্যায়ে ছিল। গত ২৬ জুন সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এই কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্বীপ এন্টারপ্রাইজ।

স্থানীয়রা জানান, এখানে একটি লোহার সেতু ছিল। সেটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়ে ছিল। ওই সেতুর জায়গাতেই ব্রিজের কাজ চলছিল। কাগজে-কলমে এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সৈয়দ মো. সোহেল অ্যান্ড দ্বীপ এন্টারপ্রাইজ হলেও তারা মামুন নামের অন্য একজন ঠিকাদারকে কাজটি দিয়ে দিয়েছে। এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক পটুয়াখালীর টাউন কালিকাপুরের আজাদুল ইসলাম।

তাদের অভিযোগ, শুরু থেকেই নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও কম সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এ নিয়ে প্রকৌশলী ও পৌর মেয়রের কাছে অভিযোগ করা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি।

দোভাষীপাড়ার বাসিন্দা আবদুল হালিম মিয়া জানান, সেতুটির মাঝে কোনো পিলার নেই। দুটি গার্ডারের ওপর এটি নির্মাণ করায় ভেঙে গেছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।

ওই এলাকার লোকজন এই সেতু দিয়ে মিশ্রিপাড়া, লতাচাপলী, ধুলাসারসহ পায়রা বন্দরে যাতায়াত করেন। সেতুটি ভেঙে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।

পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জানান, কী কারণে সেতুটি ভেঙে পড়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কাজে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তা ছাড়া এ ঘটনার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন সেখানে না থাকায় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অভিযোগ পেয়ে বারবার ঠিকাদারকে সতর্ক করে দিয়েছি। তারপরেও তারা অনিয়ম করেছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর