‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে সাইকেল দিয়েছেন, আমি তা নিয়ে স্কুলে যাব’- প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় উপহার হিসেবে বাইসাইকেল পেয়ে এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিল স্কুলছাত্রী কুমারী কালি দাসী রানী।
শুধু রানী নয়, তার মতো হরিজন সম্প্রদায়ের ১০ শিক্ষার্থীর হাতে রোববার সকালে এ বাইসাইকেল তুলে দেয়া হয়। এ ছাড়া এই সম্প্রদায়ের আরও ১৪৯ জন শিক্ষার্থী পেয়েছে শিক্ষাবৃত্তি ।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে এই উপহার তুলে দেয়া হয়।
বাইসাইকেল পাওয়া দাশুরিয়া ইউনিয়নের দরগা বাজার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী কুমারী পূজা রানী বলেন, ‘প্রতিদিন তাকে দুই কিলোমিটার হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। এতদিন অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। প্রায়ই নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে সাইকেল পেয়ে তার সুবিধা হয়েছে। এখন সাইকেল চালিয়ে সময়মতো বিদ্যালয়ে যেতে পারব।’
সাইকেল পাওয়ায় একই রকম অনুভূতি ব্যক্ত করে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিপা ও মায়া। বিনা মূল্যে সাইকেল পাওয়া যাবে, তা ভাবতেই পারেনি তারা।
শিক্ষাবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী সুব্রত ঘোষ বলেন, তারা বরাবরই অবহেলিত ছিলেন। এই প্রথম কোনো সহযোগিতা পেলেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এ সহযোগিতা তাকে আরও অনুপ্রাণিত করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, ‘আমরা আশা করছি বাইসাইকেল ও শিক্ষা উপকরণ পেয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার আগ্রহ বাড়বে এবং ঝরে পড়াও কমে আসবে।’
দরগা বাজার বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, তার প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন ছাত্রী বাইসাইকেল পেয়েছে। ছাত্রীরা কষ্ট করে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করত। এখন আর তাদের কষ্ট করতে হবে না। নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে আসতে পারবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার পেয়ে সবাই খুশি। এই উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব হবে। লেখাপড়ার প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে।