ফ্রান্স সরকারকে উপহার দেয়ার জন্য তৈরি ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পতাকাটি ফেরত চেয়েছেন এর নির্মাতা আলী নাজির মিজি।
চাঁদপুরের ফ্রান্সপ্রবাসী মিজির কাছ থেকে আট মাস আগে পতাকাটি জব্দ করে পুলিশ। দীর্ঘদিন হলেও এটি এখনও ফেরত দেয়া হয়নি তাকে।
পরিবারটি স্থানীয় মেম্বার ও তার সহযোগীদের মামলা-হামলার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ নাজিরের স্ত্রীর।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবে রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন নাজির মিজির স্ত্রী রোজিনা আক্তার।
ফ্রান্স সরকারকে উপহার দেওয়ার জন্যে ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পতাকা তৈরির পরিকল্পনা করেন মিজি। গত বছরের জুনে কাজ শুরু হয় পতাকা বানানোর। বানানো অসমাপ্ত অবস্থাতেই ২৯ অক্টোবর ৩২ কিলোমিটার লম্বা পতাকাটি জব্দ করে পুলিশ।
১৪ জুলাই ফ্রান্সের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকাটির উদ্বোধনের কথা ছিল ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এ সময় এক হাজার বাংলাদেশি পতাকাও উত্তোলনের কথা ছিল।
মিজির স্ত্রী রোজিনা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আলমগীর হোসেন গাজী ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে পতাকা তৈরির কাজে বাধা দেন। চাঁদা না দেয়ায় তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করেন।
এ ঘটনায় পুলিশের পরামর্শে চাঁদপুর মডেল থানায় চাঁদা দাবি ও নারী নির্যাতন আইনে দুটি মামলা করেন মিজি। এরপর চাঁদপুর মডেল থানার ওসি নাছিম উদ্দিন তাকে থানায় বসিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে দেখেন অভিযুক্ত আলমগীর সেই পতাকাটি কেটে টুকরা টুকরা করে ফেলেছেন।মিজির স্ত্রীর অভিযোগ, পতাকা টুকরার সময় বাধা দেন তার দেবর। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেই পতাকা ও সেলাই মেশিনও জব্দ করা হয়। ৮ মাস পার হলেও পুলিশ সেই পতাকা ও মালামাল ফেরত দেয়নি।
রোজিনা বলেন, ‘আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে এই পতাকাটি ফিরে পেতে চাই। এই ঘটনায় আমার ৮০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতিপূরণের দাবি জানাই এবং আমার করা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
এই ঘটনায় অভিযুক্ত আশিকাটি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আলমগীর হোসেন গাজীর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও সেগুলো রিসিভ হয়নি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এটি আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগের ঘটনা। বিষয়টি আমার পুরোপুরি জানা নেই।
‘তবে আমি জেনেছি পতাকাটি পুলিশ হেফাজতে আছে।’