চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শাহরিয়ার ইকবালের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তারা।
আসামিরা হলেন আল আমিন, বাসের হেলপার শাহাদাত হোসেন মামুন, বাস চালক ইসমাইল, বেলাল ও সাগর। এদের মধ্যে সাগরকে মিরসরাই থেকে, অন্য চার জনকে সীতাকুণ্ড থেকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ুন কবির জানান, মিরসরাই থানায় গার্মেন্ট কর্মীকে ধর্ষণ মামলায় ছয় জনকে দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে ১৬৪ ধারায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ওই তরুণী মিরসরাই থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় গার্মেন্ট থেকে ফেরার পথে বাসচালক বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তাকে বাসে তুলে নেন। সীতাকুণ্ডের দিকে গাড়ি চলতে থাকলে তিনি প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায়ে চলন্ত গাড়িতে তাকে ধর্ষণ করেন চালক ও তার সহকারী। পরে আরও কয়েকবার তিনি ধর্ষণের শিকার হন।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান বলেন, বাসের হেলপার মামুনের সঙ্গে ওই তরুণীর পূর্ব পরিচয় ছিল। এর সূত্র ধরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে মিরসরাই নেয়া হয়। সেখানে এক দালালের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর সায়েরখালী বেড়িবাঁধ এলাকায় নিয়ে আরও কয়েকজন তাকে ধর্ষণ করে। এছাড়া সীতাকুণ্ডের ত্রিপুরাপল্লী এলাকার আশপাশে নিয়েও তাকে ধর্ষণ করা হয়।
সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণে মোট নয় জন যুক্ত ছিলেন বলে জানান ওসি মুজিবুর।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত বাকিদের গ্রেপ্তারেচেষ্টা চলছে। ওই তরুণীকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।