বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাঁদা না পেয়ে পাউবো কর্মচারীর ওপর ‘হামলা’

  •    
  • ২৬ জুন, ২০২১ ২০:৪৫

কুড়িগ্রাম পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম এ ঘটনায় শাহজামাল, আজিজুল ইসলাম, এরশাদুলসহ অজ্ঞাতপরিচয় সাত-আটজনের নামে সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, চাঁদা দাবি ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ধরলা নদীর ভাঙন রোধ প্রকল্পের কাজে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কার্যসহকারী সরাফাত আলীর ওপর হামলার অভিযোগ করছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। তাকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন তিন শ্রমিক।

শনিবার সকালে সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের ভাটলার পাড় স্লুইসগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কুড়িগ্রাম পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম এ ঘটনায় শাহজামাল, আজিজুল ইসলাম, এরশাদুলসহ অজ্ঞাতপরিচয় সাত-আটজনের নামে সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, চাঁদা দাবি ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তরা একই পরিবারের সদস্য। তারা এর আগেও সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও কর্মচারীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত আজিজুল ও তার স্বজনরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদাসহ প্রতিটি নৌকায় জিও ব্যাগ পরিবহনের জন্য আলাদাভাবে এক শ টাকা করে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না পেয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটান।

থানায় দেয়া অভিযোগে বলা হয়, চলতি বছর ধরলা নদীর ভাঙন রোধে সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের জসিম উদ্দিনের মোড় থেকে ভাটলার পাড় স্লুইসগেট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ কাজ চলছিল। ঠিকাদারি কাজের দায়িত্বে রয়েছে রংপুরের কেকেআরইউবি। গত মে মাস থেকে তারা কাজ শুরু করে।

কাজ শুরুর পর থেকে স্থানীয় শাহজামাল, আজিজুল ইসলাম, এরশাদুলসহ তাদের লোকজন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতিটি জিও ব্যাগ পরিবহনের জন্য নৌকা বাবদ এক শ টাকাসহ পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন।

শনিবার চক্রটি চাঁদার দাবিতে ভাটলার পাড় স্লুইসগেট এলাকায় গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। কুড়িগ্রাম পাউবোর কার্যসহকারী সরাফাত আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধের কারণ জানতে চাইলে সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলামের নির্দেশে শাহজামাল, এরশাদুলসহ সাত-আটজন তাকে মারধর করেন। তাকে বাঁচাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক রানা মিয়া, শামসু মিয়া ও আব্দুস ছালাম এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় তিনজন আহত হন।

স্থানীয় লোকজন আহতদের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। সরাফাত আলী, শামসু মিয়া ও আব্দুস ছালাম হাসপাতালে আছেন।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো. শাহরিয়ার জানান, সরকারি কাজে বাধা ও চাঁদার দাবিতে কর্মচারীকে আহত করার ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষ দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর