কর্ণফুলীর নদীর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর ও দেশের অর্থনীতির স্বার্থ জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এ কারণে এই নদীকে দখল ও দূষনমুক্ত করতে হবে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ে মতবিনিমিয় সভায় তিনি একথা বলেন।
সভায় কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে নেয়া কার্যক্রমের বিষয়েও আলোচনা হয়।
মন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘নদীর পাড়ে অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে নদী দখল ও দূষণ বাড়বে। পরিবেশ এবং কর্ণফুলী নদীর স্বকীয়তা ও সৌন্দর্য নষ্ট হবে। যা কোনো অবস্থাতেই করতে দেয়া হবে না। কারণ এই নদীর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর ও দেশের অর্থনীতির স্বার্থ জড়িত। এ নদীর দখল ও দূষণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তাজুল বলেন, ‘চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে মহানগরী পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর পাড় লিজ দিয়ে কোনো ধরনের শিল্প কল-কারখানা নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির প্রাণ। চট্টগ্রাম শহরকে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে চলমান ৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প তদারকির জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করবেন।
‘চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যে প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে তা শিগগিরই শেষ হবে। আর কাজ শেষ হলে নগরবাসী এর সুফল পাবে। প্রকল্পে কোনো ত্রুটি থাকলে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই সংশোধন করা হবে। এজন্যই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে আহবান জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় পাহাড় রক্ষার উপর জোর নজর দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে যথেষ্ট আন্তরিক। মহানগরীর সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, যা চলমান আছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম শহর অত্যাধুনিক শহরে রূপান্তরিত হব।