রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে আসামি ধরতে গিয়ে কালুখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশিকুর রহমান হামলার শিকার হয়েছেন।
শনিবার সকালে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আশিকুরকে প্রথমে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার পরে কালুখালীর বেতবাড়ীয়া গ্রামের রিপন মোল্যাকে পুলিশ আটক করেছে।
বেতবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা সবুজ মোল্যা বলেন, ‘রিপন বালিয়াকান্দির সোনাপুর বাজারে ব্যাটারিচালিত অটোবাইক স্ট্যান্ডের সিরিয়াল নির্ধারক হিসেবে কাজ করেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অটোবাইক স্ট্যান্ডে বসে ছিলাম। এ সময় সাদা পোশাকে দুইজন মোটরসাইকেলে এসে আমাকে তল্লাশি করে হ্যান্ডকাফ পরায়। পরে বুঝতে পারি তারা পুলিশ। স্থানীয় লোকজন তাদের কাছে হ্যান্ডকাফ পরানোর কারণ জানতে চাইলে ওয়ারেন্ট (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা) আছে বলে জানান। ওয়ারেন্ট দেখাতে না পেরে হ্যান্ডকাফ খুলে আমাকে মোটরসাইকেলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয় লোকজন এতে বাধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’
নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসান আলী বলেন, ‘সোনাপুর বাজার আমার ইউনিয়নের মধ্যে। এখানে দীর্ঘদিন ধরে অটোবাইকের সিরিয়াল নির্ধারকের দায়িত্ব নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। প্রথমে এ দায়িত্ব ছিল কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ীর ফরিদের। তাকে বাদ দিয়ে মাজবাড়ীর বিল্লাল হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
‘তিনি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর মাজবাড়ীর টুটুল দায়িত্ব পান। লকডাউনের কারণে টুটুল দায়িত্ব ছেড়ে চলে গেলে বেতবাড়ীয়ার সবুজ মোল্যাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সবুজ দায়িত্ব পালনের সময়ে মাজবাড়ীর হাফিজকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এ নিয়ে সবুজ ও হাফিজ গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।’
তিনি বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কালুখালী থানার এসআই আশিকুর রহমান এসে ওয়ারেন্ট আছে বলে সবুজের হাতে হ্যান্ডকাফ দেন। কিন্তু ওয়ারেন্ট দেখাতে না পেরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে।’
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান জানান, কালুখালী থানার এসআই আশিকুর সোনাপুর বাজারে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা বলেন, ‘আশিকুরকে মারধরের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে।’