করোনা ডেডিকেটেড ২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেনসংকট দেখা দিয়েছে। ছোট ছোট সিলিন্ডার সময়মতো রিফিল না করায় এ সংকটের সৃষ্টি হয়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে রিফিলের গাড়ি সময়মতো যশোরে যেতে না পারায় অক্সিজেন রিফিল হয়ে আসতে দেরি হচ্ছে। সাময়িক এ সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।’
শুক্রবার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে যাত্রা শুরুর পর রোগীদের জন্য ২০০টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মধ্যে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সাপ্লাই আছে ১০টি বেডে। এ সংখ্যা আরও বাড়ানোর কাজ চলছে।
এ ছাড়া প্রায় ৬০০টি ছোট ছোট অক্সিজেনের সিলিন্ডার আছে। এগুলো রিফিল করে আনা হয় যশোর থেকে।
কুষ্টিয়ার মোল্লাতেঘরিয়ায় মনির ডিপোতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেন রিফিল করার ব্যবস্থা আছে। যা মেডিক্যাল অক্সিজেনে কনভার্ট করার কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে অক্সিজেনসংকট আর হবে না বলে জানান তাপস কুমার।
এদিকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে চিাকৎসাধীন করোনা রোগীর স্বজন আব্দুল্লাহ টেলিফোনে বলেন, ‘ভর্তি থাকা প্রায় সব রোগীরই অক্সিজেন লাগছে। অক্সিজেন শেষ হয়ে গেলে সবাই ঝুঁকির মধ্যে পড়বেন।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এখন করোনাক্রান্ত এবং এর উপসর্গ নিয়ে ১৮৮ জন রোগী ভর্তি আছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় এই হাসপাতালে করোনাক্রান্ত পাঁচজন এবং উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।