বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশি ক্ষমতার জোরে বিধবার জমি দখলের অভিযোগ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৬ জুন, ২০২১ ০১:৫২

এসআই মামুন হাওলাদার বলেন, ‘আমার পুলিশ পরিচয়ের প্রভাব দেখিয়ে জমি দখল করিনি। আমার চাচী যেন কারো কাছে জমি বিক্রি করতে না পারে তাই আমরা ওই জমিতে পিলারসহ কাঁটা তাঁরের বেড়া দিয়েছি। আর দোকান ঘরের ভাড়া যদি তার লাগে, তাহলে আমরা ভাড়া তাকে দেব সংসার চালাতে। তবে দোকান ফিরিয়ে দেব না।’

মাদারীপুরে এক মৃত স্কুল শিক্ষকের বিধবা স্ত্রীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ পরিবারের বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার দুর্গাবরদী গ্রামে। এ ঘটনায় মাদারীপুর আদালতে নিষেধাজ্ঞা মামলা করলেও কোনো প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগী অসহায় পরিবার।

সরেজমিনে ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাবরদী গ্রামের মৃত স্কুল শিক্ষক হালিম হাওলাদারের স্ত্রী ফরিদা বেগমের স্বামীর সূত্রে পাওয়া হাউসদী-দুর্গা বরদী মৌজার বাড়িতে দুই মেয়েকে নিয়ে বাস করেন।

এই পরিবারটির অসহায়তার সুযোগ নিয়ে স্বামীর সূত্রে পাওয়া ফরিদার জমিতে মনির হাওলাদার, টিটু হাওলদার, রুবেল হাওলাদার, সুমন হাওলাদার সিমেন্টের খুঁটি ও কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে দখল করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, হাওলাদারদের ভাই পুলিশের এসআই মামুন হাওলাদারের প্রভাবে বাকিরা এই কাজ করেন। এমনকি ফরিদাকে তার জমি আর কোনদিন ভোগ দখল করতে দেবে না বলেও হুমকি দেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ফরিদা বেগম বলেন, ‘দারোগা মামুনের প্রভাব দেখিয়ে আমার স্বামীর সব সম্পত্তি ওরা দখল করেছে। আমি মামলা করেও কোনো সুরাহা পাচ্ছি না। শুধু জমিই নয়। হাসউদী বাজারে সরকারের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে আমার স্বামী একটি দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করত। সে মারা যাওয়ার পরে ওই দোকানটিও ওরা দখল করে নিয়েছে। এবং আমাদের ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ করে ওরা নতুন ভাড়াটিয়াকে ভাড়া দিয়েছে। আমি এখন আর দোকান ঘরের ভাড়া পাই না।’

এ ব্যাপারে পুলিশ পরিচয়ের প্রভাব দেখিয়ে জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের এসআই মামুন হাওলাদার বলেন, ‘আমার পুলিশ পরিচয়ের প্রভাব দেখিয়ে জমি দখল করিনি। আমার চাচী যেন কারো কাছে জমি বিক্রি করতে না পারে তাই আমরা ওই জমিতে পিলারসহ কাঁটা তাঁরের বেড়া দিয়েছি। আর দোকান ঘরের ভাড়া যদি তার লাগে, তাহলে আমরা ভাড়া তাকে দেব সংসার চালাতে। তবে দোকান ফিরিয়ে দেব না।’

স্থানীয় দুধখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান হিরু খান বলেন, এই ঘটনা নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ মিমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু মামুনদের পক্ষ রাজি না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর