করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় থাকা নাটোরের নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে সংগঠনটি।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নাটোর কার্যত ১৭ দিন অবরুদ্ধ। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ।
তাদের সংকট বুঝে শুক্রবার সকালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বিপ্লব পাল।
খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি মসুরের ডাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি আলু ও একটি সাবান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ নাটোর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক বুলবুল আহমেদ, সদস্যসচিব গোলকবিহারী পাল, সদস্য কালিদাস রায়, শুভ কর্মকার, উৎস দত্ত, আকাশ চক্রবর্তী ও বিপ্লব কর্মকার।
বিপ্লব পাল বলেন, ‘করোনা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি তিন বেলা খাবারও প্রয়োজন। কিন্তু টানা লকডাউনে অনেকে কাজ হারিয়েছেন। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগেও তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
‘কারণ একা ভালো থাকলে হবে না, সবাই মিলে এক সাথে এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে।’
৯ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত দুই দফায় নাটোর ও সিংড়া পৌর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধের আরোপ করা হয়। করোনা সংক্রমণ না কমায় নতুন করে এ দুই পৌর এলাকাসহ গুরুদাসপুর, গোপালপুর, বড়াইগ্রাম, বনপাড়া, বাগাতিপাড়া, নলডাঙ্গা পৌরসভায় এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে।