বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছিনতাইকারী চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

  •    
  • ২৫ জুন, ২০২১ ১৫:৫০

গ্রেপ্তারের সময় ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে ৮টি ডায়মন্ড, নগদ ২০ হাজার টাকা, ১১টি মোবাইল, ১৬টি ভ্যানিটি ব্যাগ ও অটোরিকশার হুড কেটে নেয়ার ১টি কাটার উদ্ধার করা হয়।

চট্টগ্রামে ছিনতাইকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়ার মো. আকাশ, তার স্ত্রী তানিয়া বেগম, হালিশহর এলাকার আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও বন্দরের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকার তাজুল ইসলাম।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি ডায়মন্ড, নগদ ২০ হাজার টাকা, ১১টি মোবাইল, ১৬টি ভ্যানিটি ব্যাগ ও অটোরিকশার হুড কেটে নেয়ার ১টি কাটার উদ্ধার করা হয়।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন নিউজবাংলাকে জানান, গত রমজানে অটোরিকশার পর্দা কেটে এক তরুণীর ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে পালিয়ে যান আকাশ। তখন থেকেই তাকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। অবশেষে গতকাল রাতে তাকে ও তার সদস্যসহ বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আকাশ চলন্ত অটোরিকশার পেছনে উঠে সেকেন্ডের মধ্যেই পর্দা কেটে ভেতরে থাকা যাত্রীর ব্যাগ, মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান। পুরো ঘটনা ঘটাতে তার সময় লাগে ২০ সেকেন্ড। এর পাশাপাশি গাড়ির জানালার পাশে বসা যাত্রীদের মোবাইলও ছিনিয়ে নিতেন তিনি।

ওসি আরও জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে শ্রমিকের চাকরি করতেন আকাশ। তখন বন্দরের গাড়িগুলো থেকে মোবাইল ছিনতাই করতেন। ১০ বছর ধরে ছিনতাই করেন আকাশ।

আগে তিনি নারী ছিনতাইকারী ফারজানার গ্রুপে কাজ করতেন। পরে ফারজানার গ্রুপ থেকে বের হয়ে এখন নিজেই ছিনতাই করেন। গত ৩ বছরে ২ শতাধিক ছিনতাই করেছেন বলে জানান আকাশ।

ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট থেকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকা পর্যন্ত তার মূল অপরাধ সীমানা।

ওসি মহসিন আরও জানান, আকাশকে তার স্ত্রী তানিয়ে সহযোগিতা করতেন। তিনি ছিনতাইয়ের পর সব মালামাল জমা রাখতেন স্ত্রীর কাছেই। আকাশ এর আগেও তিনবার গ্রেপ্তার হয়েছেন পুলিশের হাতে।

প্রতিবারই জামিন করান স্ত্রী তানিয়া। সর্বশেষ এপ্রিলেও গ্রেপ্তার হন আকাশ। জেলও খাটেন। তাকে আবারও জামিন করান তানিয়া।

ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘ছিনতাই করে অনেক মূল্যবান জিনিস অনেকটা বিনা মূল্যে বিক্রি করে দিতেন আকাশ। যেমন লাখ টাকা দামের একটি আইফোন বিক্রি করেছেন মাত্র ৬৫০ টাকায়। তাছাড়া ছিনতাই করা ব্যাগে পাওয়া ডায়মন্ড না চিনতে পেরে ফেলে দিচ্ছিলেন তিনি।

পরে আনোয়ার ও তাজুলের কথা শুনে রেখে দেন। গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে আনোয়ার ও তাজুল নিজেদের পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে ছিনতাইয়ের এক তৃতীয়াংশ অর্থ নিয়ে নিতেন।’

তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান ওসি মোহাম্মদ মহসীন।

এ বিভাগের আরো খবর