রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন শিশু সুমাইয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন এক যুবক।
উপজেলার ললিতনগর এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম শামীম হোসেন। তার বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, নিহত যুবকের দেহে তল্লাশি চালিয়ে চুরি হওয়া একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। তার মরদেহের পাশ থেকে একটি পিস্তল, একটি গুলি ও দুইটি গুলির খোসা পাওয়া গেছে।
- আরও পড়ুন: খড়ের গাদার নিচে শিশুর মরদেহ
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ললিতনগর এলাকায় টহলে ছিল। এ সময় কিছু দুর্বৃত্ত পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালায়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়। শুক্রবার সকালে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।
ওসি জানান, ২০ জুন এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। পরদিন বাড়ির পাশে খড়ের গাদার নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দিন পাশের বাড়ি ও শিশুটির বাসা থেকে দুইটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। নিহত ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইল দুটির একটি পাওয়া গেছে।
গত শনিবার গভীর রাতে উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের ললিতনগরে ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। সে স্থানীয় একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত।
গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওই শিশু বাড়িতে টিভি দেখে। এরপর একাই ঘুমাতে যায়। রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে তার বাবা-মা মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তারা বাড়ির পাশের একটি খড়ের গাদার নিচে মেয়ের মরদেহ দেখতে পান।
ইফতেখায়ের আলম জানান, পুলিশ ঘটনার পর থেকে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সন্ধানে ছিল। মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের পর তারা নিশ্চিত হয়েছে শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে শামীম জড়িত। তার বিস্তারিত পরিচয় জানতে পুলিশ কাজ করছে।