পাবনার ঈশ্বরদীতে এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবক চাপা ইসলামের বাড়ি পাবনার চাটমোহরে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, নিহত যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি ভ্যানে করে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন গ্রামে ভিক্ষা করতেন। পাবনার পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় চাপার সঙ্গে ছামেলা খাতুনের আগে পরিচয় ছিল। এ জন্য আওতাপাড়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের ছামেলা খাতুনের শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত ছিল চাপার।
এ ঘটনায় ছামেলা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তার বাড়িও চাটমোহরে।
ওসি আরও জানান, হয়তো টাকাপয়সার কোনো বিষয় নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় চাপাকে পরিকল্পিতভাবে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে ছামেলা খাতুনসহ তার পরিবার। গভীর রাতে লাশটি গুম করার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেলে স্থানীয় কুলি ছাইদার হোসেন ও ওই ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার রহিদুল্লাহকে সাথে নিয়ে জনৈক মানিক সরদারের বাড়িতে গেলে তাদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। পরে তারা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে।
আসাদুজ্জামান বলেন, 'যুবকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীর রক্তে ভেজা ছিল। আটক ছামেলা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।'