বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা: তাড়িয়েছেন বাড়িওয়ালা, আমবাগানে রাতযাপন

  •    
  • ২৪ জুন, ২০২১ ২২:২২

করোনার কারণে সোহরাবকে তার বাবা জায়গা দেননি বাড়িতে। অবশেষে পুলিশ উদ্ধার করে তার আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে।

করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ভাড়াবাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বাড়ির মালিক। বাবার বাড়িতে গিয়েও জায়গা হয়নি। শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে নিয়ে দুই রাত কাটল আমবাগানে।

শেষ পর্যন্ত ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা পেয়ে অবশেষে বাবার বাড়িতে তার জায়গা হয়েছে। পরে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে খাদ্যসহায়তা।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামে। ওই গ্রামের খয়বর আলীর ছেলে সোহরাব আলী (৩৫) পেশায় অটো মেকানিক। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে দিনমজুরের কাজও করেন তিনি। দুই স্ত্রীর মধ্যে ছোট স্ত্রীকে নিয়ে আলীপুর বাজারের পাশেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন সোহরাব।

সোহরাব আলী জানান, হঠাৎ সর্দিজ্বর হওয়ায় গত মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে নমুনা পরীক্ষার পর তার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তবে তার স্ত্রীর করোনা হয়নি।

করোনা পজিটিভ হওয়ার পর সোহরাব আলী তার ভাড়াবাড়িতে গেলে বাড়ির মালিক তাকে সেখানে থাকতে দিতে রাজি হননি। এরপর সোহরাব তার বাবার বাড়িতে যান থাকার জন্য। কিন্তু বাবা খয়বর আলীসহ পরিবারের অন্যরাও সেখানে জায়গা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

বাধ্য হয়ে সোহরাব তার স্ত্রীকে নিয়ে বাবার বাড়ির পাশের একটি আমবাগানে টিনের ছাপরাঘরে আশ্রয় নেন।

দুই দিন অতিবাহিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার হটলাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন সোহরাব আলী। সেখানে তিনি জানান, তিনি বাড়িতে জায়গা পাননি। তার খাবারের প্রয়োজন। খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাশমত আলী জানান, ৯৯৯ হটলাইনে ফোন পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়। বাড়িতে জায়গা না পাওয়ায় আমবাগানে একটি টিনের ছাপরাঘরের নিচে তারা অবস্থান করছিলেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সোহরাব আলীকে স্ত্রীসহ উদ্ধার করে তার বাবার বাড়িতে একটি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। সেখানে তার হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। তাকে খাদ্যসামগ্রীও দেয়া হয়েছে। তার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর