নওগাঁর সাপাহারে একটি ছাত্রাবাস থেকে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ওই মেয়ের স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন বাবা আলী হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার উত্তরপাড়া গ্রামের সুমি আখতারের সঙ্গে সাপাহার উপজেলার উত্তরপাতাড়ী গ্রামের সেলিম রেজার বিয়ে হয়। বিয়ের তিন-চার মাস পর থেকেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সালিশ বৈঠকও হয়েছে।
সেলিম বিয়ের পর থেকে অধিকাংশ সময় মাতৃছায়া ছাত্রাবাসের একটি ঘরে থাকতেন। সুমিও মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে থাকতেন।
বুধবার রাত ৮টার দিকে সেলিম শ্বশুরকে ফোনে জানান, সুমি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সুমির বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়রা সেখানে পৌঁছানোর আগেই সেলিম পালিয়ে যান। পুলিশ রাত ৯টার দিকে সেলিমের ঘর থেকে সুমির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
আলী হোসেনের দাবি, তার মেয়েকে হত্যা করেছে জামাই। সে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার নিউজবাংলাকে জানান, সুমির গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেলিমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।