নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক প্রতিবন্ধী শিশুকে নির্যাতন ও আয়রন দিয়ে শরীরে ছ্যাঁকা দেয়ার অভিযোগে মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. বদিউজ্জামানের আদালত বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
গ্রেপ্তার দুই শিক্ষক হলেন নরসিংদীর মাধবদী থানার ময়শাদি এলাকার মো. শাহজালাল ও তার ভাই শাহ পরান।
আদালত পুলিশের পরির্দশক মো. আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির নানা ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৩ বছরের মো. ফাহিম শারীরিক প্রতিবন্ধী। সে রূপগঞ্জ উপজেলার কালাদি এলাকায় মদিনা ইসলামীয়া সুন্নিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় পড়ালেখা করে। গত ১৩ জুন ওই দুই শিক্ষক তাকে আয়রন দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়, মাটিতে আছাড় দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেত্রাঘাত করে।
এরপর তাকে মাদ্রাসার একটি ঘরে আটকে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।
বুধবার শিশুটি পালিয়ে তার নানা মো. শহীদুল্লাহর কাছে যায়। তিনি ফাহিমকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর বৃহস্পতিবার ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তবে কী কারণে শিশুটির ওপর এরকম নির্যাতন চালানো হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক জানেন না শহীদুল্লাহ। কিছু একটা ফাহিমকে করতে বলা হলেও না করায় তাকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ নিউজবাংলাকে জানান, মামলার পরই ওই দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আদালতে তোলা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।