বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাড়াটে খুনি দিয়ে ছেলেকে খুন!

  •    
  • ২৪ জুন, ২০২১ ১৮:৫৯

সুরুজ মিয়া জিজ্ঞাসাবাদে জানান, মোহাম্মদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর মাদকাসক্ত ছিলেন। তার কারণে পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন। মোহাম্মদ আলী কোনো উপায় না দেখে সুরুজ মিয়া ও সেকানদার আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি তাদের ২০ হাজার টাকা দিয়ে ছেলেকে খুন করতে বলেন। কথামতো সুরুজ মিয়া ২১ মে রাতে জাহাঙ্গীরকে মোবাইল ফোনে ৫০০ টাকা দেয়ার কথা বলে মাহারাম নদীর তীরে নিয়ে যান।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যার রহস্য উন্মোচনের দাবি করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

গত ২১ মে গভীর রাতে খুন হন মোহাম্মদ আলীর ২৮ বছর বয়সী ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ভাড়াটে দুই খুনিকে দিয়ে নিজের ছেলেকে খুন করান মোহাম্মদ আলী।

খুনের রহস্য উন্মোচনের বিষয়ে তিনি জানান, জাহাঙ্গীর আলমকে খুনের ঘটনায় তার বাবা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে একই এলাকার আহসান হাবিব, মো. সোলাইমান ও তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়াকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সন্দেহ বাড়তে থাকে।

এসপি বলেন, তাহিরপুর থানার পুলিশ গোপনে ঘটনা তদন্ত করতে শুরু করে। কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হয়ে আসে। বিভিন্ন তথ্য ও প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে একই এলাকার সুরুজ মিয়াকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সুরুজ মিয়া স্বীকার করেন, কীভাবে তিনি ও সেকানদার আলী মিলে জাহাঙ্গীরকে খুন করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুরুজ মিয়া জিজ্ঞাসাবাদে জানান, মোহাম্মদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর মাদকাসক্ত ছিলেন। তার কারণে পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন। মোহাম্মদ আলী কোনো উপায় না দেখে সুরুজ মিয়া ও সেকানদার আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি তাদের ২০ হাজার টাকা দিয়ে ছেলেকে খুন করতে বলেন। কথামতো সুরুজ মিয়া ২১ মে রাতে জাহাঙ্গীরকে মোবাইল ফোনে ৫০০ টাকা দেয়ার কথা বলে মাহারাম নদীর তীরে নিয়ে যান।

সেখানে পেশাদার খুনি সেকানদারকে নিয়ে নৃশংসভাবে জাহাঙ্গীরকে খুন করেন তিনি। পরে মোবাইল ফোনে জাহাঙ্গীর আলমের বাবাকে খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সেকানদার আলীকে পুলিশ গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে আটক করে। আটক সুরুজ মিয়া ও সেকানদার দুজন খুনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। দুজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক খুনে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার মিজানুর বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের বাবা মোহাম্মদ আলীই এই হত্যা মামলার বাদী। মোহাম্মদ আলী নিজের ছেলের খুনের ঘটনায় জড়িত বিধায় তার বিরুদ্ধেই নতুন করে হত্যা মামলা হচ্ছে। মোহাম্মদ আলীর করা মামলার আসামিদের অব্যাহতি দেয়ার ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর