বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘লকডাউন’ নিজেই লকডাউনে

  •    
  • ২৪ জুন, ২০২১ ১৯:২৫

নির্দেশ না মেনে ফটিকছড়িতে যাতায়াত করছে গণপরিবহনও। নগরের অক্সিজেন এলাকা থেকে সরাসরি ফটিকছড়ির বিবিরহাট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত কোনো বাস না চললেও উপজেলার প্রবেশপথ নাজিরহাট নতুন রাস্তা পর্যন্ত চলছে বাস। আর চট্টগ্রাম শহর থেকে যাত্রীরা বাসে নাজিরহাট নতুন রাস্তা পর্যন্ত গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে যাচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সদরে মানলেও গ্রামে মানা হচ্ছে না সরকারি নির্দেশ।

জেলা প্রশাসন কেবল কাঁচাবাজার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা এবং বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ওষুধের দোকান ছাড়া বাকি সব দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সব ক্লাব, কমিউনিটি সেন্টারসহ জনসমাগমও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া উপজেলা থেকে কোনো যানবাহন বাইরে এবং বাইরে থেকে কোনো যানবাহন উপজেলায় প্রবেশ করতে পারবে না বলেও নির্দেশ দেয়া হয়। তবে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আন্তজেলা সড়ক ফটিকছড়ির ভেতর দিয়ে যাওয়ার কারণে আন্তজেলা যানবাহনগুলোকে গেটলক করে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

কিন্তু লকডাউনের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশ না মেনে মুদি দোকানসহ অনেক দোকানপাট খোলা রাখতে দেখা গেছে। জনসমাগমও অনেকটা আগের মতোই স্বাভাবিক।

তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার মেয়র ইসমাইল হোসাইন ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকান বন্ধ করতে বাধ্য করেন বলে জানান ফটিকছড়ির বিবিরহাট এলাকার বাসিন্দা রয়েল দেবনাথ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউনের প্রথম দিন এখানে মাইকিং করেছিলেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা, কিন্তু তাতেও লোকজন লকডাউন মানছে না। দ্বিতীয় দিনেও সকাল থেকে সব দোকানপাট খোলা ছিল। দুপুরে মেয়রের অভিযানের পর অনেক দোকান বন্ধ করা হয়েছে।’

রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, নির্দেশ না মেনে ফটিকছড়িতে যাতায়াত করছে গণপরিবহনও। নগরের অক্সিজেন এলাকা থেকে সরাসরি ফটিকছড়ির বিবিরহাট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত কোনো বাস না চললেও উপজেলার প্রবেশপথ নাজিরহাট নতুন রাস্তা পর্যন্ত চলছে বাস। আর চট্টগ্রাম শহর থেকে যাত্রীরা বাসে নাজিরহাট নতুন রাস্তা পর্যন্ত গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে যাচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। একইভাবে নাজিরহাট নতুন রাস্তা থেকে ফটিকছড়ির যাত্রীরাও আসছেন চট্টগ্রাম শহরে।

এদিকে পুলিশের চেকপোস্ট ফাঁকি দিয়ে চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন ও নতুন পাড়া থেকে ফটিকছড়ির বিভিন্ন এলাকায় সরাসরি চলাচল করছে অটোরিকশা।

অটোরিকশাচালক আবু তৈয়ব বলেন, ‘কয়েকটা জায়গায় পুলিশের চেকপোস্ট আছে। সেগুলা আমরা গ্রামের রাস্তা দিয়া পার হই। তাই ভাড়াও একটু বেশি নিতেছি। যাত্রীদেরও যাওয়া লাগবে, আর আমাদেরও পেটে ভাত দিতে হবে। তাই লকডাউনেও সিনএনজি নিয়ে বাইর হইছি।’

জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার মেয়রের অভিযানে উপজেলা সদরে লকডাউন মানা হলেও ইউনিয়ন পর্যায়ের হাটবাজারগুলোর দৃশ্য ভিন্ন।

উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. রুবেল বলেন, “শুনেছি, ফটিকছড়িতে লকডাউন চলে। আমাদের এলাকায় দোকানপাট সব স্বাভাবিক। আমার তো মনে হয় ‘লকডাউন’ নিজেই লকডাউনে এখানে।”

ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র ইসমাইল হেসেন বলেন, ‘গতকাল আমরা মাইকিং করেছি। আজ দুপুরের দিকে আমরা যেসব দোকান খোলা ছিল, সেগুলো বন্ধ করেছি। সরকারি নির্দেশ অমান্য করার সুযোগ নেই। আর প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে গণপরিবহন চলাচলের যে অভিযোগ, আমরা সেটার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিশান বিন মাজেদ বলেন, ‘যারা সরকারি নির্দেশ মানছে না, মোবাইল কোর্ট (ভ্রাম্যমাণ আদালত) পরিচালনা করে তাদের জরিমানা করছি। দুপুরে বিবিরহাট ও নানুপুর বাজারে ১৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। গ্রামাঞ্চলেও আমাদের নজর আছে, আমরা সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর