বগুড়ায় পৃথক স্থান থেকে নিখোঁজ দুই অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার হয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে।
তারা হলো বগুড়ার কাহালু উপজেলার জামগ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে ১৪ বছর বয়সী সাব্বির আহমেদ ও নওগাঁর রানীনগর উপজেলার সেকেন্দার ফকিরের ছেলে ২৭ বছর বয়সী শামীম ফকির। তারা দুজনই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি।
বৃহস্পতিবার সকালে সাব্বিরের মরদেহ শাজাহানপুর উপজেলার খরণা ইউনিয়নের জগন্নাথপুর এলাকায় রাস্তার পাশের ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়। তার হাত-পা বাঁধা ছিল। শামীমের লাশ পাওয়া যায় আদমদিঘী উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের ধনতলা ম্যানকাপাড়া গ্রামের সিদ্দিক হাজীর জমি থেকে।
শাহাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সাব্বিরের বাবা অটোরিকশাচালক। করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় সাব্বির অটোরিকশা চালিয়ে বাবাকে সহযোগিতা করে আসছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাড়িটিসহ সাব্বির নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় রাতেই কাহালু থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার।
তিনি জানান, সাব্বিরের গলায় ফাঁস লাগানোর চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ছিনতাইকারীরা অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাকে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে যায়।
আদমদিঘী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজরান রউফ জানায়, শামীম বুধবার সন্ধ্যায় তার অটোরিকশা নিয়ে রানীনগর থেকে শ্বশুরবাড়ি আদমদিঘী উপজেলার কুসুমদি যাওয়ার জন্য বের হন। বৃহস্পতিবার সকালে নসরতপুর ইউনিয়নের ধনতলা ম্যানকাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা লাশটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।
তিনি বলেন, ‘নিহতের স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। হত্যার কারণ সম্পর্কে আমরা এখনও নিশ্চিত নই।’
এএসপি রউফ জানান, ময়নাতদন্তের জন্য দুইজনের মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।