ভোলা সদর উপজেলার গাজীপুরে একটি চরের জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নুরুল ইসলাম ওরফে কেন্টু বেপারি নামের এক বর্গাচাষি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার মেঘনার গাজিপুর চরের শেষ সীমানায় মধুপুর বৈরাগীর চরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক (এসআই) আনিসুল রহমান।
নিহত নুরুল ইসলামের বাড়ি সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের সোনাডগী গ্রামে।
আনিসুল রহমান জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বেলায়েত পাটোয়ারী, আলী হোসেন হাওলাদার, মনসুর তালুকদার, আলমগীর হোসেন তালুকদারসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের নাম এখনও জানা যায়নি। তাদের ইলিশা ফাঁড়িতে আটক রাখা হয়েছে।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. মোশারেফ বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সকাল ৮টার দিকে কেন্টু বেপারি (নুরুল ইসলাম) বৈরাগীর চরে কামাল মিয়ার জমিতে চাষাবাদের কাজে যান। দুপুর ১২টার দিকে কেন্টুর ছেলের কাছে ফোন আসে, তার (কেন্টু) সঙ্গে চড়ের দখল নিয়ে কয়েকজনের সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে কেন্টুর ছেলে ও এলাকার কয়েকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে কেন্টুর মুখ কাদামাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় দেখতে পান তার ছেলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় লাল মিয়া ও তার ভাতিজা কামাল মিয়ার মধ্যে বৈরাগীর চর নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। কামাল মিয়ার হয়ে কেন্টু বেপারি ওই চরে ধান বুনতে গেলে লাল মিয়ার লোকেরা বাধা দেন। তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটিও হয়।’
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি জেনেছি। পুলিশের একটি দল নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।’
পুলিশের ধারণা, কাদার মধ্যে মাথা চেপে ধরায় শ্বাসরোধ হয়ে নুরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি বলে জানান ওসি এনায়েত।