বরগুনার আমতলীতে এক বৃদ্ধকে জনসমক্ষে কান ধরে ওঠবস করানোর একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ওই বৃদ্ধ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করায় তাকে এভাবে অপদস্ত করা হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বুধবার রাতে ওই বৃদ্ধ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেন।
আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নে গত মঙ্গলবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে।
লিখিত অভিযোগে ওই বৃদ্ধ জানান, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতারুজ্জামান খান বাদলের কর্মী ও সমর্থকরা পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মহসিন মিয়ার সমর্থকদের মারধর ও বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালান। তারা ওই বৃদ্ধের ঘরও ভাঙচুর করেন। পরে তাকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যান।
ওই বৃদ্ধ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘরে ভাঙচুরের পর তারা আমার ভাইয়ের স্ত্রী, পুত্রবধূ, নাতি-নাতনিদের সামনে আমাকে মারধর করেন, কান ধরিয়ে ওঠবস করায়। এতে আমার ছেলেবউ ও ভাইয়ের বউ বাধা দিলে তাদেরও মারধর করে। পরে ঘরের শোকেস ও আলমারি ভেঙে ১৮ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।’
হামলাকারীদের মধ্যে রাশেদুল, মনিরুল, মিরাজ ও ইলিয়াসকে তিনি শনাক্ত করতে পেরেছেন বলে জানান।এ বিষয়ে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মহসিন হাওলাদার বলেন, ‘নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী অংশ নেবে এবং জয়-পরাজয় থাকবে। তাই বলে পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের এভাবে লাঞ্ছিত, মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুর করবে, এটা মেনে নেয়া যায় না।’
তিনি বলেন, বৃদ্ধ লোকটির সঙ্গে যা ঘটেছে, তা লজ্জাজনক ও ন্যক্কারজনক।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই আখতারুজ্জামানের সমর্থকরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে হামলা ও ভাঙচুর শুরু করেছেন। এ ঘটনায় আমতলী থানার ওসিকে অবহিত করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচনে হেরে গিয়ে মহসিন হাওলাদার আমার কর্মী-সমর্থকদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।’ওসি শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই ইউনিয়নে পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।